তরুণ সমাজকে প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে "ওয়ান ওয়ে স্কুল" এর সদস্যদের দিকনির্দেশনা
- সাজ্জাদুল ইসলাম
- প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৬ AM , আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৬ AM

দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ন্যাশনাল টেক কার্নিভাল- ২০২৩। ১৪ ই জানুয়ারি তেজগাঁও কলেজ অডিটোরিয়ামের এই আয়োজনে তরুণদের দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এবং টেকনোলজি উদ্যোগতা হিসেবে তৈরি করতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওয়ান ওয়ে স্কুলের প্রেসিডেন্ট জাহিদুল ইসলাম বলেন: শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তার পাশাপাশি, অসহায়, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়াবার প্রত্যয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ,এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে বাছাইকৃত একঝাকঁ তরূণের সমাগমে গঠিত হয়েছে "ওয়ান ওয়ে স্কুল"।
কার্নিভালে তরুণ অংশগ্রহণকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে ওয়ান ওয়ে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সিফাতুর রহমান বলেছেন: "প্রযুক্তি নিজ থেকে কিছু করতে পারে না বরং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এর উপর নির্ভর করে আমাদের ক্যারিয়ার গঠন।"
দেশের জন্য টেকনোলজির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ওয়ান ওয়ে স্কুলের কোন ফাউন্ডার আব্দুল মোতালেব ফয়সাল বলেন:বর্তমান বিশ্ব পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর,আমরা যদি বহির্বিশ্বের সাথে যদি বাংলাদেশের তুলনা করি তাহলে দেখা যাবে প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে।আমাদের প্রযুক্তিতে এই ঘাটতি পূরণ করতে তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে,তাদের মধ্যে সচতেনতা বৃদ্ধির জন্যই আমাদের এই ন্যাশনাল ট্যাক কার্নিভাল-২০২৩
টেকনোলজিতে ক্যারিয়ার গঠনে ওয়ান ওয়ে স্কুল সম্পর্কে ডিরেক্টর জেনারেল মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন:
আমাদের ওয়ান ওয়ে স্কুলের এই আয়োজন সারা বাংলাদেশের তরুণদের ও মেন্টরদের একসাথে করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি এই ইভেন্ট অনেকের ক্যারিয়ারের জন্য মাইলফলক হবে।
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একটি দক্ষ তরুণ সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।তাই একটি দক্ষ তরুণ সমাজ করে গড়ে তুলতে ওয়ান ওয়ে স্কুলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপ্ত হালদার বলেন:"বড় কিছু অর্জনের জন্য ছোট ছোট প্রদক্ষেপ ই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওয়ান ওয়ে স্কুলের আয়োজিত সর্বপ্রথম ন্যাশনাল টেক কার্নিভাল ই আমাদের ক্ষুদ্র পরিসরে বৃহত্তর লক্ষ্যের সূচনা।"
ভালো কাজ করে সফলতা অর্জন করতে হলে দক্ষ মানুষের সাথে একত্রে কাজ করা উচিত। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে ওয়ান ওয়ে স্কুল -এর নির্বাহী পরিচালক ও বোর্ড অব মেম্বার "ফারিয়া হক" বলেন-
"ওয়ান ওয়ে স্কুল" এমন এক পরিবার যেখানে ঘৃণার উর্ধ্বে ভালোবাসা, অহংকারের উর্ধ্বে সৌহার্দ্যতা, একাকিত্বের উর্ধ্বে পারস্পরিক সম্পৃক্ততা। যার ফলস্বরূপ "ন্যাশনাল টেক কার্নিভাল -২৩" সফলভাবে সুসম্পন্ন হয়েছে কোনোরকম বিড়ম্বনাবিহীন।
আরও পড়ুন: প্রাণ বিকাশের উপযোগী গ্রহের সন্ধান পেল নাসা
এখন আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার নয় বরং প্রযুক্তি নিয়ে বসবাস করি । তাই ওয়ান ওয়ে স্কুলের অপারেশন ডিরেক্টর সাফায়েত হোসাইন সাইফী বলেন:" প্রযুক্তির ব্যবহার তখনই করুন, যখন আপনার নিজের উপর পূর্ণ
নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। কেননা একবার তা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে সবার অকল্যাণ হতে পারে "
বর্তমান বিশ্বে টেকনোলজির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এরই প্রেক্ষিতে ওয়ান ওয়ে স্কুলের প্রোগ্ৰাম ডিরেক্টর মো. ইমরান হোসাইন ভূঁইঞা বলেন: আমরা টেকনোলজি তে বসবাস করি। কোনো একটি সিঙ্গেল বিষয় কেও আমরা এর বহির্ভূত করতে পারি না। তাই বর্তমান বিশ্বে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে প্রযুক্তির সাথে সমান তালে চলতে হবে।
ওয়ান ওয়ে স্কুলের এই আয়োজনে একাত্ততা প্রকাশ করে ঢাকা ডিভিশন লিডার মুস্তাফিজুর ইসলাম মাসুদ বলেন:
আমরা যতটুকু জানতে চাই,শিখতে চাই আমাদের ঘিরে রাখা পরিবেশ আমাদের তাই শেখায়!কিন্তু যদি সেই পরিবেশ সম্পর্কে অবগত না থাকি, তাহলে তা আমাদের কিভাবে শেখাবে?সেই অনন্য নেটওয়ার্কিং এর একটি মাধ্যম হলো টেকনোলজি, আর টেক নিয়ে কাজ করা মানুষজন। সেইরকম একটা প্লাটফর্ম হল One Way School
ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট লিডার ইয়াসিন আহমেদ হৃদয় বলেন: প্রযুক্তির ব্যবহার তখনই সার্থক হয়,যখন তা মানুষকে কাছে আসে,আর আমরা ওয়ান ওয়ে স্কুলের মাধ্যমে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার আরো সহজময় করে তোলার জন্যই প্রথমবারের মতো ওয়ান ওয়ে স্কুলের সকলের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে জাতীয় টেক ক্যারনিভাল আয়োজন করেছি।