টুইটারকে টক্কর দিতে জুকারের ‘থ্রেডস’ অ্যাপ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩, ০৩:৪৮ PM , আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩, ০৪:২৫ PM

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও এক নতুন বিকল্প শুরু করলেন মার্ক জুকারবার্গ। টুইটারকে টেক্কা দিতে লঞ্চ হল নতুন থ্রেডস অ্যাপ। মাত্র ২ ঘণ্টাতেই ২০ লাখ সাইন-আপ হয় এই প্ল্যাটফর্মে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ইউজারের সংখ্যা বাড়ছে এই অ্যাপে। ইতিমধ্যে ১ কোটি মানুষ নথিভুক্ত হয়েছেন থ্রেডস-এ। খবর রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, আল জাজিরা, আরব নিউজ, ডেইলি মেইল, দ্য ইকোনোমিক টাইমস, হিন্দুস্তান টাইমস, এই সময়ের।
২০০৪ সালে ফেসবুক আবিষ্কার করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন মার্ক জুকারবার্গ। আজ যেই অ্যাপ ছাড়া কল্পনাও করতে পারে না সাধারণ মানুষ। এর পর একে একে ঝুলিতে যোগ হয় হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম। তিন প্ল্যাটফর্মেই রয়েছে কোটি কোটি অ্যাক্টিভ ইউজার।
জানা গিয়েছে, এই থ্রেডস অ্যাপ বানিয়েছে মেটা মালিকাধীন ইনস্টাগ্রাম। সামাজিক মাধ্যমের মতোই এখানে টেক্সট আপডেট করা যাবে এবং একে অপরের সঙ্গে ইউজাররা যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
কী এই থ্রেডস অ্যাপ?
এই অ্যাপে সর্বোচ্চ ৫০০ ক্যারেক্টার টেক্সট আপলোড করা যাবে (লিঙ্ক সহ)। ভিডিও এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা রাখা হয়েছে ৫ মিনিট। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট দিয়েই সাইন-আপ করা যাবে এই অ্যাপে। এখানে টেক্সট-এর পাশাপাশি শেয়ার করতে পারবেন ছবি ও ভিডিও।
যে সকল ইউজারের বয়স ১৬ বছরের নিচে (কোনও কোনও দেশে ১৮ বছর) তাঁদের থ্রেডস অ্যাকাউন্ট ডিফল্ট অপশন হিসাবে প্রাইভেট রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। নিজের প্রোফাইলের ফিড কাস্টমাইজ করতে পারবেন ইউজাররা।
পাশাপাশি থ্রি লাইন ডটে ক্লিক করে আনফলো, ব্লক ও রিপোর্টও করা যাবে। বৃহস্পতিবার থেকেই ১০০টির বেশি দেশে থ্রেডস অ্যাপ চালু করতে চলেছে মেটা। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুই ডিভাইসেই সাপোর্ট করবে এই অ্যাপ।
টুইটারকে চ্যালেঞ্জ
বর্তমানে যে কোনও কিছুর ঘোষণা বা মন্তব্য ভাগ করার জন্য সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ টুইটার ব্যবহার করেন। এই প্ল্যাটফর্ম আরও গুছিয়ে তোলার জন্য সম্প্রতি নানান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলন মাস্ক। নিয়োগ হয়েছেন নতুন সিইও লিন্ডা ইয়াক্কারিনো।
টুইটারের মতোই এবার প্রায় একই পরিষেবা দেবে থ্রেডস। এই অ্যাপেও ইউজাররা তাঁদের মতামত টেক্সট, ছবি, ভিডিও আকারে ভাগ করে নিতে পারবেন। সংস্থার দাবি, অ্যাপে কাস্টমাইজেশনের সুবিধা এবং আকর্ষণীয় ইন্টারফেস রাখা হয়েছে যাতে ইউজারের একঘেয়েমি না লাগে।
এখন প্রশ্ন তাহলে কি থ্রেডস টুইটারের চেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে? এর উত্তরে মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ দাবি করেছেন, "এতে কিছুটা সময় লাগবে, তবে আমি মনে করি ১০ কোটি মানুষের একটি পাবলিক কথোপকথন প্ল্যাটফর্ম থাকা দরকার। টুইটার এটি করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তারা পারেনি। আশা করি আমরা করব।"