বঙ্গবাজারে ধ্বংসস্তুপে ঈদের আনন্দ খুঁজছেন অনেকে
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:২২ PM , আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:২২ PM

রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুনে ধ্বংসস্তুপ থেকে ঈদের আনন্দ খুঁজছেন অনেকেই। সেখানে পোড়া কাপড় দেখছেন তারা। সেখান থেকে যদি দুই একটা নেওয়া যায়। যদি ব্যবহার করার মতো একটা দুইটা পাওয়া যায়, তবে আনন্দ দিগুণ হবে পরিবারের।
আনুমানিক ছয়-সাত বছর বয়সী এক শিশুকে কাপড় খুঁজতে দেখা যায়। গভীর আশা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে সে, যদি বেরিয়ে আসে পরার মতো একটি কাপড়।
মাঝ বয়সী এক নারীক ধ্বংসস্তুপ থেকে একটি প্যান্ট বের দেখছেন মনযোগ সহকারে।
আনুমানিক ৫০-৫৫ বছর বয়সী কাঁচা-পাকা চুলে এক মাঝ বয়সী লোককে দেখা গেছে গভীর অনুসন্ধান করতে। যদি ভালো কোনো জামা পাওয়া যায়, তাহলে মেয়ে অথবা স্ত্রীকে দিবেন পরতে। এটা হাতে পেয়ে হয়তো তারা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো আনন্দ পাবে। অথবা অন্য কিছু।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পাশাপাশি সেনা ও বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল, নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল ও একটি হেলিকপ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পুরো বঙ্গবাজার। এতে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন। একেবারেই নিঃস্ব হয়ে যান কোনো কোনো ব্যবসায়ী।
এদিকে বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার সময় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ারা মামলায় তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন মো. রাজু, শাওন ও শাহাদাৎ হোসেন।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরে ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বংশাল থানায় মামলা করেন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহিন আলম।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন।
হামলা ও ভাঙচুরের এই মামলায় তিন ব্যবসায়ীকে একদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এই ব্যবসায়ীরা হলেন শওকত হোসেন, ইদ্রিস ও খলিল।