নিউজিল্যান্ড-সুইডেন-ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও সুখী বাংলাদেশ

হ্যাঙ্কের বার্ষিক দুর্দশা সূচক
  © ফাইল ছবি

বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যাংকি বিশ্বের ১৫৭টি দেশের সুখী বা দুঃখজনক অবস্থা পরিমাপ করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন। একে বলা হচ্ছে, হ্যাঙ্কের বার্ষিক দুর্দশা সূচক (এইচএএমআই)।

স্টিভ হ্যাংকি দেশের বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, এবং ব্যাঙ্ক-ঋণের হার, মাথাপিছু প্রকৃত মোট দেশীয় পণ্যের বার্ষিক হার বিবেচনা করে এই তালিকা প্রণয়ন করেছেন।  

বার্ষিক দুর্দশা সূচকে বিশ্বের দুর্দশাগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর সবচেয়ে কম দুর্দশাগ্রস্ত দেশ সুইজারল্যান্ড।

দুর্দশা সূচকে সবচেয়ে কম দুর্দশাগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় সুইজারল্যাণ্ডের পর যথাক্রমে রয়েছে- কুয়েত, আয়ারল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, নাইজার, থাইল্যান্ড, টোগো এবং মাল্টা। 

সবচেয়ে বেশি দুর্দশাগ্রস্ত ১৫টি দেশের তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো- জিম্বাবুয়ে, ভেনেজুয়েলা, সিরিয়া, লেবানন, সুদান, আর্জেন্টিনা, ইয়েমেন, ইউক্রেন, কিউবা, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, হাইতি, অ্যাঙ্গোলা, টোঙ্গা এবং ঘানা।

হ্যাংকির এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫। বাংলাদেশের দুর্দশার প্রধান কারণ- বেকারত্ব। এ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২০ দশমিক ১০৭।

সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের মতো দেশ। এছাড়া বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, ইতালি, স্পেন, সুইডেন, রোমানিয়া, হাঙ্গেরির মতো ইউরোপীয় দেশগুলোও বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে রয়েছে।

এছাড়াও কানাডা, আয়ারল্যান্ড, বাহরাইন, নিউজিল্যান্ড, সৌদি আরব এবং সুইডেনের মতো উন্নত দেশ থেকেও সুখী দেশ বাংলাদেশ।

ভারতের অবস্থান তালিকায় ১০৩। বাংলাদেশের মতো ভারতেরও দুর্দশার প্রধান কারণ বেকারত্ব। পাকিস্তানের অবস্থান ৩৫। দেশটির দুর্দশার প্রধান কারণ মুদ্রাস্ফীতি।

বিশ্বের দুর্দশাগ্রস্ত দেশের তালিকা তৈরির ধারণাটি ছিল মার্কিন অর্থনীতিবিদ আর্থার ওকুনের। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রথম এই সূচকটি তৈরি করেছিলেন। পরে এর সংশোধন আনেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রবার্ট ব্যারো। পরে আরও সংশোধন আনেন স্টিভ হ্যাংকি।

সূচকটি তৈরিতে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, ইকোনমিক আউটলুক এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।

তালিকাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।