পহেলা ফাল্গুনে ভালোবাসা দিবস, বিপাকে ফুল ব্যবসায়ীরা

ফুল
  © সংগৃহিত

সংশোধীত বর্ষবঞ্জীতে ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন একই দিনে হওয়ায় এবার ফুল বেচাকেনা অনেকটাই কমে যাবে। এমন শঙ্কা ব্যবসায়ী ও ফুলচাষীদের। তারা বলছেন, এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষরা। 

১৫ বছর ধরে ফুল চাষ করা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের গোলাপ গ্রামের ফুলচাষি সাবেদ আলী বলেন এবছর টানা শীত ও কুয়াশার কারণে ফলন কিছুটা কম হলেও ভালো দাম পাবার আশা তার। তারমতো এমন আশায় বুক বেধেছেন অন্যরাও।

তিনি আরও বলেন, ফুলের কোয়ালিটি ভাইরাসে নষ্ট করে ফেলেছে। তারপরও আল্লাহ এখন যেগুলো রেখেছে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই। ফেব্রুয়ারি মাসে বসন্ত ভালোবাসা দিবস আছে। তাই ভালো কিছু হবে। 

কিন্তু, সেই আশায় গুড়েবালি যে পড়তে যাচ্ছে, তার আভাস পাওয়া গেলো ফুল বিক্রেতাদের কথায়। তারা বলছেন, আগে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস আলাদা আলাদা দিনে হওয়ায় কেনাবেচা হতো বেশি। কিন্তু সংশোধিত বর্ষপঞ্জিতে একি দিনে পড়েছে দুই দিবস। ফলে ভাটা পড়বে বিক্রিতে।

ফুল বিক্রেতার বলেন, আগে যেমন দুই দিনে বিক্রি করতাম দুই ভাবে। এখন তো একদিনে হওয়াতে আমাদের বেচাকেনা সেরকম হবে না। 

একি কথা বলছেন ব্যবসায়ী নেতারাও। তবে সংকট থাকলেও এবারো বেচাকেনা অন্তত ২ হাজার কোটি টাকার হবে বলে মনে করেন তারা।

ঢাকা ফুল মালিক সমিতি সভাপতি শ্রী বাবুল প্রসাদ বলেন, তিনদিনের ফুল একদিনে তোলা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে বলতে গেলে এবার ফুলের দাম এবার একটু চড়া থাকবে। 

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স সোসাইটির হিসেবে দেশের বাজারে অন্যান্য ফুল পাওয়া গেলেও চাহিদা মুলত বেশি গোলাপ, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, গাঁদা, ও লিলিয়াম ফুলের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে দেশেই ভালো মানের ফুল উৎপাদন করা গেলে তা বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবেনা চাষীদের। কেনোনা তখন শুধু দেশেই নয়, চাহিদা থাকবে বিদেশেও।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়। যা থেকে পাওয়া যায় ৩৫ হাজার টনের বেশি ফুল ।


মন্তব্য