ফখরের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের ৫০০তম ওয়ানডে জয়

পাকিস্তান
  © ফাইল ছবি

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত সমতায় সন্তুষ্ঠ থাকতে হয়েছিল। তবে ওয়ানডে সিরিজে প্রতিশোধের লক্ষ্যে মাঠে নেমে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। পেসার নাসিম শাহের আঁটসাঁট বোলিংয়ের পর ওপেনার ফখর জামানের সেঞ্চুরিতে ভর করে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের ৫০০তম জয় তুলে নিয়েছে বাবর আজমের দল।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরও ২৮৮ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফখরের সেঞ্চুরিতে ৯ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে উইল ইয়াং ও চ্যাড বাওয়েস ৪৮ রান যোগ করেন। তবে দশম ওভারে বাওয়েসকে উইকেটকিপার রিজওয়ানের ক্যাচে পরিণত করে পাকিস্তানকে প্রথম সাফল্য এনে দেন রউফ। বিদায়ের আগে ২৬ বলে ১৮ রান করেন বাওয়েস।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০১ বলে ১০২ রানে দলকে এগিয়ে নেন ইয়াং ও ড্যারেল মিচেল। তবে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয়ে ফেরেন ইয়াং। স্পিনার শাদাব খানকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন তিনি। বিদায়ের আগে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৮৬ রান করেন কিউই ওপেনার।

অধিনায়ক টম ল্যাথাম শুরু থেকে সংগ্রাম করছিলেন রানের জন্য। অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন মিচেল। ৩৯ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ২১৮ রান। কিন্তু মিচেলের সঙ্গে টম ল্যাথামের ৭৯ বলে ৭২ রানের জুটি ভেঙে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার ফুলটস ডেলিভারিতে এলবিডব্লু হয়ে ৩৬ বলে ২০ রান করে ফেরেন কিউই অধিনায়ক।

এরপর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মিচেল। তবে মার্ক চ্যাপম্যানের উইকেটের পরই যেন সে পথ হারিয়ে ফেলে কিউইরা। ১৫ রানে ব্যাট করা চ্যাপম্যানের উইকেট নেন রউফ। এরপর ১১৩ রান করা মিচেলও দ্রুত বিদায় নেন। ফলে তাদের সংগ্রহ প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। শেষ পর্যন্ত থামে ৭ উইকেটে ২৮৮ রানে।

বল হাতে দুইটি করে উইকেট নেন তিন পেসার শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহ। তবে সবচেয়ে কম খরুচে ছিলেন নাসিম। আরেকটি উইকেট নেন স্পিনার শাদাব খান।

রান তাড়ায় ফখর ও ইমামের উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান। মাত্র ১২৮ বলে ১২৪ রান আসে তাদের জুটিতে। তবে ফিফটির পর ইনিংস বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি ইমাম। ৬৫ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় তিনি ৬৫ বলে করেন ৬০ রান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ফখর ও বাবরের ৮৪ বলে ৯০ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় নিউজিল্যান্ড।

ফখর তার ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৯৯ বলে। অ্যাডাম মিলনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন বাবর। ৪৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় খেলেন ৪৯ রানের ইনিংস। জয় থেকে ৩৪ রান দূরে থাকতে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় ফখরের ১১৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি।

শান মাসুদ ও আঘা সালমান ভালো করতে না পারলেও দলকে সমস্যায় পড়তে দেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই কিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ৪৮ ওভার ৩ বলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৩৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। নওয়াজ অপরাজিত থাকেন ৮ রানে।

দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো ফখর ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। এই জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাবর আজমরা। আগামী ২৯ এপ্রিল একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানাডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।


মন্তব্য