বাবরের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে বড় জয় পাকিস্তানের

ক্রিকেট
বাবর আজম  © ক্রিকইনফো

প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ইনিংসের শেষ বল। জিমি নিশাম বল করার জন্য তৈরি। স্ট্রাইকে বাবর আজম। নিশাম বলটি বাবর খেললেন কাভারের উপর দিয়ে। বল গড়িয়ে সোজা বাউন্ডারি লাইন পার করে গেল। চার হতেই লাফিয়ে উঠলেন বাবর। উচ্ছ্বাসে ভাসলেন ডাগআউটে থাকা পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়রাও। 

নিজেদের ইনিংসের শেষ বলে জিমি নিশামকে চার মেরে বাবর স্পর্শ করেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এই তিনটি সেঞ্চুরিই তিনি করেছেন অধিনায়ক হিসেবে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে তিন সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফেললেন বাবর আজম। যে রেকর্ড আর কারও নেই। দু'টি করে সেঞ্চুরির হাত ধরে এত দিন বাবরের সঙ্গে যৌথ ভাবে শীর্ষে ছিলেন ভারতের রোহিত শর্মা এবং সুইৎজারল্যান্ডের ফাহিম নাজির। 

এ দিকে টি-টোয়েন্টিতে প্লেয়ার হিসেবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির নিরিখে বাবর আজম রয়েছেন দুইয়ে। শীর্ষে রয়েছেন ভারতের রোহিত শর্মা। রোহিত প্লেয়ার হিসেবে মোট ৪টি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছেন। আর বাবর আজম টি-টোয়েন্টিতে করেছেন মোট ৩টি শতরান।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই তিন নম্বর সেঞ্চুরির সুবাদে, সব ধরনের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মিলিয়ে বাবর আজম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছেন। ক্রিস গেইলের ২২টি সেঞ্চুরির পর বাবরের ৯টি সেঞ্চুরিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

বাবরের সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ডের রাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮ রানে জয়ও পেয়েছে পাকিস্তান। বাবরের অপরাজিত ১০১ এবং মহম্মদ রিজওয়ানের ৫০ রানে ভর করে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে করেছিল ৪ উইকেটে ১৯২ রান। রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থেমে যায় ৭ উইকেটে ১৫৪ রানে।

কিউয়িদের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। একদিন পর যেন সেখান থেকেই শুরু করেন বাবর-রিজওয়ান। দু'জনে ওপেনিং জুটিতে করেন ৯৯ রান।

৬টি চার এবং একটি ছক্কার হাত ধরে ৩২ বলে ৫০ রান করে ফেলেন রিজওয়ান। তুলনায় বাবরের পঞ্চাশ স্পর্শ করতে ৩ বল বেশি লেগেছে। এর মাঝেই অবশ্য ৭ বলের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে একা হাতে পাকিস্তানকে দু'শোর কাছে নিয়ে যান বাবর।

নিউজিল্যান্ড রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব খারাপ না করলেও, পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর থেকে নির্দিষ্ট ব্যবধানে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। হ্যারিস রাউফ ফের আগুনে মেজাজে ছিলেন। তিনি একাই চার উইকেট তুলে নেন। কিউয়িদের মিডল অর্ডার পুরো গুঁড়িয়ে দেন রাউফই। তবে মার্ক চ্যাপম্যান ৪০ বলে অপরাজিত ৬৫ করে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। 


মন্তব্য