লখনউ-গুজরাটের ওপেনারদের বিরল রেকর্ডের দিনে জয় পেয়েছে গুজরাট

ক্রিকেট
লখনউ-গুজরাটের ওপেনারদের বিরল রেকর্ড  © ক্রিকইনফো

আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ৫৬ রানের বিরাট ব্যবধানে হারতে হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। যদিও একটা সময়ে মনে হয়েছিল দুই দলের মধ্যে 'কাঁটে কা টক্কর' হতে চলেছে। যতক্ষণ উইকেটে লখনউয়ের দুই ওপেনার টিকে ছিলেন ততক্ষণ ম্যাচে ভালোভাবেই টিকে ছিল লখনউ। তবে ওপেনিং জুটি ভাঙতেই ম্যাচে ধীরে ধীরে পিছতে শুরু করে লখনউ। তবে ম্যাচ হারলেও এই ম্যাচে দুই দলের ওপেনারদের বদান্যতায় তৈরি হয়েছে নয়া নজির। আইপিএলের কোন একটি নির্দিষ্ট ম্যাচে দুই দলের ওপেনাররা সবথেকে বেশি রান করার নজির গড়লেন।

একদিকে যখন গুজরাটের হয়ে ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমন গিল অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তখন সুপার জায়ান্টসের হয়ে দুরন্ত শুরু করেন কাইল মেয়ার্স এবং কুইন্টন ডি'কক। গুজরাটের হয়ে ইনিংস ওপেন করে ৪৩ বলে ৮১ রান করেন ঋদ্ধিমান। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ১০টি চার এবং চারটি ছয় দিয়ে। অন্যদিকে শুভমন গিল ৫১ বল খেলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।

দুজনে মিলে প্রথম উইকেট জুটিতে করেন ১৪২ রান। ১২.২ ওভারে ঋদ্ধিমান সাহা আউট হয়ে যাওয়ার পরে ভাঙে এই জুটি। অন্যদিকে লখনউয়ের কাইল মেয়ার্স ৩২ বলে করেন ৪৮ রান। অপর ওপেনার কুইন্টন ডি'কক ৪১ বলে করেন ৭০ রান। দুজনে মিলে ওপেনিং জুটিতে করেন ৮৮ রান। ৮.২ ওভারে রশিদ খানের নেওয়া দুরন্ত ক্যাচে কাইল মেয়ার্সকে, মোহিত শর্মা প্যাভিলিয়নে পাঠালে ভাঙে এই জুটি।

দুই দলের চার ওপেনার মিলে করেন মোট ২৯৩ রান। যা আইপিএলের ইতিহাসে নয়া নজির। এদিনের ম্যাচে মোট ৩৯৮ রান উঠেছে। যার প্রায় ৮০ শতাংশ রান করেছেন দুই দলের ওপেনাররা। পরিসংখ্যানের বিচারে যা অত্যন্ত বিরল এক ঘটনা। আর এদিনের ম্যাচে দুই দলের পার্থক্যও গড়ে দিয়েছেন গুজরাটের দুই ওপেনারের ব্যাটিং। গুজরাটের ২২৭ রানের জবাবে ১৭১ রানেই আটকে যায় লখনউ। ফলে ৫৬ রানের বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটানস দল।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ