শেষ বলে ‘নো’ নাটকীয়তায় জেতা ম্যাচ হারল রাজস্থান

ক্রিকেট
জেতা ম্যাচ হারল রাজস্থান  © ক্রিকইনফো

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ঠিক একই পরিস্থিতি থেকে রাজস্থানকে ম্য়াচ জিতিয়ে নায়কের মর্যাদা পেয়েছিলেন সন্দীপ শর্মা। এবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও দলকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। তবে একটা নো-বলই হিসাবটা গোলমাল করে দেয় অভিজ্ঞ পেসারের। ফলে এবার তাঁকে ভিলেনে পরিণত হতে হয়।

রাজস্থান বনাম চেন্নাই ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ বলে ৫ রান দরকার ছিল সিএসকের। ব্যাটসম্যান ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। শেষ বলে সন্দীপ শর্মা মাত্র ১ রান খরচ করেন এবং রাজস্থানের জয় নিশ্চিত করেন।

এবার রাজস্থান বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ বলে ৫ রান দরকার ছিল সানরাইজার্সের। সন্দীপের শেষ বলে লং-অফ ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন ব্যাটসম্যান আব্দুল সামাদ। ফলে রাজস্থান ৪ রানে ম্য়াচ জিতেছে বলে জয়পুরে কার্যত উৎসব শুরু হয়ে যায়। হঠাৎই নো-বলের সাইরেন বেজে ওঠায় থমকে যায় সেই গ্যালারির সেই উচ্ছ্বাস।

সন্দীপ শর্মা ওভার-স্টেপে নো-বল করায় আউট হয়েও বেঁচে যান সামাদ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শেষ বলে জয়ের জন্য চার রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। সন্দীপ পুনরায় শেষ বল করলে সামাদ ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতান সানরাইজার্সকে। হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাজস্থানকে।

সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে এই ম্যাচের শেষ ওভার ছিল অত্যন্ত নাটকীয়। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। সন্দীপ শর্মার শেষ ওভারের গতিপ্রকৃতি ছিল এরকম-

১. প্রথম বলে আব্দুল সামাদের ক্যাচ ছাড়েন ওবেদ ম্যাককয়। জীবনদান পাওয়া ছাড়াও সামাদ ২ রান সংগ্রহ করেন।
২. দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান আব্দুল।
৩. তৃতীয় বলে ২ রান নেন সামাদ।
৪. চতুর্থ বলে ১ রান নেন সামাদ।
৫. পঞ্চম বলে ১ রান নেন মারকো জানসেন।
৬. নো-বলে জীবনদান পান আব্দুল সামাদ। অর্থাৎ, অতিরিক্ত হিসেবে ১ রান উপহার পায় হায়দরাবাদ।
৭. সন্দীপ পুনরায় ষষ্ঠ বল করলে ছক্কা মারেন সামাদ।

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর:-
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ২১৪ রান সংগ্রহ করে। জোস বাটলার ৯৫ ও সঞ্জু স্যামসন ৬৬ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২১৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৫৫ রান করেন অভিষেক শর্মা। যুজবেন্দ্র চাহাল ৪টি উইকেট নেন।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ