অ্যাশেজ ২য় টেস্ট
স্টোকসের অতিমানবীয় ইনিংসের পরও ৪৩ রানের জয় অজিদের
- স্পোর্টস মোমেন্টস
- প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৩, ১২:১৫ PM , আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩, ১২:১৫ PM

সামর্থ্যের শতভাগ উজাড় করেও দলকে জেতাতে পারেননি স্টোকস। তবে একাই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ঘাম ছুটিয়ে জয় প্রায় তুলেই নিয়েছিলেন। যদিও ২০১৯ এর মতো এবার আর ভাগ্য সহায় হয়নি তার। লর্ডসে কামিন্স-স্টার্কদের বোলিং তোপে পেতে হয়েছে ৪৩ রানে হারের লজ্জা।
অ্যাশেজ আসলেই যেন জ্বলে ওঠেন স্টোকস। অতীত পরিসংখ্যান তো সেকথায় বলে। ৩৭১ রানের বড় লক্ষ্যে বিপরীতে খেলতে নেমে ১৯৬ রানে ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সমর্থকদের অনেকেই ভেবেছিল ইংল্যান্ডের জয়ের আশা হয়তো শেষ। তবে কে জানত যে এখনও অনেক নাটকীয়তা বাকি। স্টুয়ার্ট ব্রডকে সঙ্গী করে চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়েছিলেন স্টোকস।
চতুর্থ দিন শেষে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৫৭ রান। আর অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৬ উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই ইংলিশ কন্ডিশনে শেষদিনে এই রান তাড়া বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ বটে। যদিও পঞ্চম দিনের শুরুতে বেন ডাকেটকে সঙ্গে নিয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকেন স্টোকস। তবে ১৭৭ রানের মাথায় ডাকেটের বিদায়ে বড়সড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। আউটের আগে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ১১২ বলে ৮৩ রান।
ডাকেটের বিদায়ের পর জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি স্টোকস। দলীয় ১৯৩ রানে অনাকাঙ্খিত রান আউটে কাটা পড়েন বেয়ারস্টো। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কার্যত জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় ইংলিশদের। তবে টেল এন্ডারদের নিয়ে সেই আশাকে বাঁচিয়ে রাখার কাজটা করেন স্টোকস। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে তুলে নেন দুর্দান্ত শতক।
তবে দলীয় ৩০১ রানের মাথায় ছয় মারতে গিয়ে ক্যারির হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন স্টোকস। আউটের আগে খেলেন ২১৪ বলে ১৫৫ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। তার বিদায়ে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের জয়ের আশা। এরপর বাকি ব্যাটাররা মিলে চেষ্টা করলেও, তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৩২৭ রানে থামে স্টোকসের দল।
এর আগে লর্ডসে টস হেরে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে স্টিভেন স্মিথের সেঞ্চুরিতে ৪১৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩২৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ৯১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডকে ৩৭১ রানের বড় সংগ্রহ ছুঁড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস : ১০০.৪ ওভারে ৪১৬/১০
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ৭৬.২ ওভারে ৩২৫/১০
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস : ১০১.৫ ওভারে ২৭৯ (খাজা ৭৭, ব্রড ২৪.৫-৮-৬৫-৪,।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস : ৮১.৩ ওভারে ৩২৭/১০ (স্টোকস ১৫৫, স্টার্ক ২১.৩-২-৭৯-৩, কামিন্স ২৫-২-৬৯-৩, হ্যাজেলউড ১৮-০-৮০-৩)