ছোট টার্গেটে ইতিহাস গড়া বড় জয় পাকিস্তানের

ক্রিকেট
বড় জয় পাকিস্তানের  © ক্রিকইনফো

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে লো স্কোরিং প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে রেকর্ড ব্যবধানে জয় তুলে নিল পাকিস্তান। শুরুতে ব্যাট করে বাবর আজমরা স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে ব্যর্থ হন। তবে তখনও বোধহয় তাঁরা জানতেন না যে, পালটা ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান অতি সস্তায় গুটিয়ে যাবে।

হাম্বান্তোতায় সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা ৪৭.১ ওভারে মাত্র ২০১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ইমাম উল হক ৬১, শাদব খান ৩৯, ইফতিকার আহমেদ ৩০, মহম্মদ রিজওয়ান ২১ ও নাসিম শাহ ১৮ রান করেন। বাবর আজম খাতা খুলতে পারেননি। আফগানিস্তানের হয়ে মুজিব উর রহমান ৩টি এবং মহম্মদ নবি ও রশিদ খান ২টি করে উইকেট নেন।

পালটা ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। শুরু থেকে একের পর এক উইকেট হারিয়ে তারা অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ৫৯ রানে। আফগানিস্তানের ইনিংস স্থায়ী হয় ১৯.২ ওভার। কোনও রকমে ২০০ টপকেও পাকিস্তান ম্যাচ জেতে ১৪২ রানের বিশাল ব্যাবধানে।

রহমানউল্লাহ গুরবাজ (১৮) ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১৬) ছাড়া আফগানিস্তানের আর কোনও ব্যাটারই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। খাতা খুলতে পারেননি ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শাহিদি, রশিদ খান ও ফজলহক ফারুকি। মহম্মদ নবি ৭ রান করে আউট হন।

পাকিস্তানের হয়ে ৬.২ ওভার বল করে মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন হ্যারিস রউফ। এটি তাঁর ওয়ান ডে তথা আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স। সুতরাং, দলের দরকারের সময় নিজের সেরাটা উজাড় করে দেন রউফ। এছাড়া ৯ রানে ২টি উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি। নাসিম শাহ ও শাদব খান ১টি করে উইকেট দখল করেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জেতেন হ্যারিস।

শুরুতে ব্যাট করে নিজেরা অল-আউট হওয়া ম্যাচে সব থেকে বড় ব্যবধানে (১৪২ রানের) জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। এই নিরিখে তাদের আগের রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ১৯৯৮ সালে পার্লে নিজেরা ২৪৯ রানে অল-আউট হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে দেয় ১৩৯ রানে। ১১০ রানে সেই ম্যাচ জেতে পাকিস্তান।

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সব থেকে কম রানে (৫৯) অল-আউট হওয়ার লজ্জাজনক নজির গড়ে আফগানিস্তান। এর আগে এই হতাশাজনক রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের। তারা ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬৪ রানে অল-আউট হয়। কিউইদের সেই লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দেয় আফগানিস্তান।