এশিয়া কাপ থেকে ভারতের বিদায়!

এশিয়া কাপ থেকে ভারতের বিদায়!
  © সংগৃহীত

এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইটা কঠিন করে ফেললো ভারত। পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হেরে বিদায় প্রায় নিশ্চিত। এখন তাদের ভরসা পাকিস্তান-আফগানিস্থান ম্যাচের প্রতি। অন্যদিকে জয় পেয়ে ফাইনালে এক পা দেওয়া হল শ্রীলঙ্কার।

মঙ্গলবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান করে ভারত। জবাবে ১ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় লঙ্কানরা।

ফাইনালে উঠতে হলে এখন অন্য ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ তো জিততে হবেই। তবে বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তান জিতলে তাদের সঙ্গে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে শ্রীলঙ্কারও। সেক্ষেত্রে শেষ দুটি ম্যাচ হবে নিছক আনুষ্ঠানিকতার।

অথচ এই শ্রীলঙ্কা বিদায় নিতে পারতো বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ম্যাচের বেশির ভাগ অংশ এগিয়ে থেকেও হার মানতে হয় টাইগারদের। মূলত মাঝের দিকে বাজে বোলিংয়ের কারণে হারে টাইগাররা। আর তখন থেকেই যেন উজ্জীবিত লঙ্কানরা। সে ধারায় এখন ফাইনালের পথে দলটি।

আগে ব্যাট করতে নেমে তাদের সামনে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দেন রোহিত শর্মারা। জবাব দিতে নেমে দারুণ শুরু করে শ্রীলঙ্কা। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা ও  কুশল মেন্ডিস। চাহালের বলে রোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্রথম ব্যাটার হিসেবে নিশাঙ্কা  ফেরেন সাজঘরে। একই ওভারে মেন্ডিসকেও সাজঘরের পথ দেখান চাহাল।

৪ চার ও দুই ছক্কায় ৩৭ বলে ৫২ করেন নিশাঙ্কা। কুশলের ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৭ রান। এরপর আশালাঙ্কাকে চাহাল ও গুনাতিলাকাকে অশ্বিন ফেরালে ম্যাচ জমে ওঠে। কিন্তু, ভানুকা রাজাপক্ষে ও দাসুন শানাকার ঝড় লঙ্কানদের এনে দেয় সহজ জয়। ভানুকা ২ ছক্কায় ১৭ বলে ২৫ ও শানাকা ৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ওপেনার লোকেশ রাহুল আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন। ৭ বলে ৬ রান করে এই ডানহাতি ব্যাটার লঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকসানার বলে লেগ বিফোরের শিকার হন। এরপর ৪ বলের মোকাবিলা করেও রানের খাতা খোলার আগেই দিলশান মাধুশঙ্কার বলে বোল্ড হন আগের দুই ম্যাচেই ফিফটির দেখা পাওয়া বিরাট কোহলি।

কোহলি বিদায় নিলেও ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন রোহিত। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সূর্যকুমার যাদব। দুজনে মিলে গড়েন ৫৮ বলে ৯৭ রানের দারুণ এক জুটি। মাত্র ৩২ বলে ফিফটির দেখা পান রোহিত। এরপর ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন তিনি। দারুণ খেলতে থাকা রোহিত থামেন ব্যক্তিগত ৭২ রানে। চামিকা করুণারত্নের বলে পাথুম নিসাঙ্কার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৪১ বল স্থায়ী ইনিংসে তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান।  

রোহিতের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি সূর্য। দাসুন শানাকার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২৯ বলের মোকাবিলায় ৩৪ রান করেন তিনি; ছক্কা ও চার হাঁকিয়েছেন ১টি করে। চাপের মুখে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ঋষভ পন্থ। কিন্তু ১৩ বলে ১৭ রান করে পান্ডিয়া বিদায় নিলে ভাঙে ১৯ বলে ৩০ রানের জুটি। পন্থও থামেন ঠিক ১৩ বল খেলে ব্যক্তিগত ১৭ রানেই। এরপর দীপক হুডা ৩ রানে ও ভুবনেশ্বর কুমার ০ রানে বিদায় নেন। তবে ৭ বলে ১৫ নিয়ে অপরাজিত থাকেন অশ্বিন।  

বল হাতে শ্রীলঙ্কার মধুশঙ্কা ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া শানাকা ও করুণারত্নে ২টি করে এবং থিকসানা ১টি উইকেট নেন।


মন্তব্য