আফ্রিকাকে ৩ দিনেই হারিয়ে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড

ক্রিকেট
ইংল্যান্ড দল  © ক্রিকইনফো

ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর শোক আর বৃষ্টিতে প্রথম দুইদিন খেলা না হওয়ায় ফলাফল আসবে কিনা এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। তবে ওভালে তিনদিনে পরিণত হওয়া টেস্টে দুইদিনেই ফল বের করে নিয়ে এসেছে ইংল্যান্ড। আলোকস্বল্পতায় তাদের ২য় দিনের খেলা না হওয়ায় শেষদিনে দরকার ছিল মাত্র ৩৩ রান, হাতে ১০ উইকেট। সে লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম সেশনেই ১ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। 

তৃতীয় দিন থেকে মাঠে গড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টেস্টের খেলা। লন্ডনের দ্য ওভালে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমেই ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটাররা। যার ফলে মাত্র ১১৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

ইংলিশ পেসার অলি রবিনসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডের আগুনে বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট বিসর্জন দিতে থাকেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। রবিনসন ১৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে একাই নেন ৫ উইকেট। স্টুয়ার্ট ব্রড নেন ৪১ রান দিয়ে ৪ উইকেট।

জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডও। ৭ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা বেন স্টোকসের দল আর মাত্র ৪ রান যোগ করতে হারায় বাকি ৩ উইকেট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন অলি পোপ। প্রোটিয়া দুই পেসার মার্কো জানসেন ৩৫ রানে ৫টি আর কাগিসো রাবাদা ৮১ রানে নেন ৪টি উইকেট।

প্রথম ইনিংস শেষে দুই দলই লড়াইয়ে ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে ফের ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায়। ইংল্যান্ড হাতে নিয়ে নেয় ম্যাচের লাগাম। অথচ এবার প্রোটিয়াদের শুরুটা হয়েছিল ভালো। একটা সময় ১ উইকেটে ছিল ৮৩ রান। শেষ ৯ উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছে ৮৬ রানে। দলের পক্ষে অধিনায়ক ডিন এলগার করেন সর্বোচ্চ ৩৬ রান।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড আর বেন স্টোকস। দুটি করে উইকেট শিকার জেমস অ্যান্ডারসন আর অলি রবিনসনের।

ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩০ রানের। এবার আর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েনি ইংলিশরা। অ্যালেক্স লিস আর জ্যাক ক্রলি উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১০৮ রান। লিস ৭৩ বল খেলে ৩৯ রানে রাবাদার বলে এলবিডব্লিউ এর কবলে পড়ে আউট হলেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন জ্যাক ক্রলি। ৫৭ বলে ১২ চারের সাহায্যে ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। 

শেষ টেস্টে আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ৩ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ২-১ এ জিতে নিল ইংল্যান্ড।