ফেসবুকে ‘বিদায়’ লিখে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যা 

নিজের ফেসবুক পেইজে ‘বিদায়’ লিখে আত্নহত্যা করে না ফেরার দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাবিল হায়দার। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল ) রাতে রাজধানীর একটি ভাড়া বাসায় আত্নহত্যা করেন তিনি। 

তার আত্মহত্যার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বাংলাদেশ মোমেন্টসকে নিশ্চিত করেছেন।

প্রক্টর বলেন, ‘গতকাল রাতে রাজধানীর একটি ভাড়া বাসায় আত্নহত্যা করেন নাবিল। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আজ সকাল দশটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তার লাশ ভাই ও বাবার হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল সকালে তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।’

ফেসবুক পেইজে মাটির উপর একটি ভাঙ্গা চশমা সম্বলিত একটি ছবি ও ‘বিদায়’ লিখে গতকাল রাতে ফেসবুকে পোস্ট করেন নাবিল। এরপরে আত্নহত্যা করেন তিনি।

নাবিল থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নে। তার বাবার নাম জসিম উদ্দিন হায়দার। তিনি বোরহান উদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বড় মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

নাবিল হায়দার দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সনজিত চন্দ্র দাসের কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে নাবিল হায়দারের এরকম মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার সহপাঠী থেকে শুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে তার রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীরা। তার মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘পরপারে ভালো থাকিস অনুজ Nabil Haydar মেনে নিতে পারছি না! আত্মার শান্তি কামনা করি।’

তার বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, ‘পরপারে ভালো থাকিস ছোটভাই Nabil Haydar, ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রান ছিলি তুই। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এই ছাত্রলীগ পরিবার তোকে মনে রাখবে!’