প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে ঢাবি জিরো টলারেন্স: উপাচার্য

ক্যাম্পাস
প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে ঢাবি জিরো টলারেন্স: উপাচার্য  © টিবিএম ফটো

প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জিরো টলারেন্সের ভূমিকায় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলাম (প্রশ্ন ফাঁসে) জিরো টলারেন্সে থাকবো। যে সকল প্রতারক চক্র নানাভাবে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তাদেরকে মূলোৎপাটনের একটা উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম।

উপাচার্য আরও বলেন, সেই সূত্রে  আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তাদের বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় তাদের  অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে এখন পর্যন্ত একটি আশানুরূপ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আশা করছি কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সামনের দিনগুলোতেও ঘটবে না।

আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে সকাল এগারোটায় এ পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত।

পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। প্রশ্নপত্রের গুণগত মান ও পরীক্ষার সার্বিক পরিবেশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। বিগত বছরগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেভাবে সুশৃংখলভাবে পরীক্ষা নিয়েছে এবারও সেভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করব সামনের দিনে পারিপার্শ্বিক অবস্থাতে যাতে আরও সুন্দর থাকে।

এবারের ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষা ছাড়া আগামী ৬ মে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ১২ মে বিজ্ঞান ইউনিট এবং ১৩ মে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার এক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। এবারের ‘চ’ ইউনিটে মোট ১৩০টি আসনের বিপরীতে প্রায় ৭ হাজার ৯৬টি আবেদন পড়ে। সে হিসেবে আসনপ্রতি প্রায় ৫৪ জন প্রার্থী অংশ নেন।


মন্তব্য