গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ পালিত

গবি
র‌্যালির একাংশ  © টিবিএম ফটো

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) আয়োজনে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (৩ মে) দুপুরে এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে মূল ফটকের সামনে শেষ হয়ে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। 

রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের দেশে মুক্ত সাংবাদিকতায় পরিবেশ এই জন্য দরকার যে, দেশে ভুলভ্রান্তি সবক্ষেত্রে সব জায়গাতেই হয় সাংবাদিকরা এইসব ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দেয় যাতে ভবিষ্যতে এইসব ভুলভ্রান্তি থেকে উত্তরণ সম্ভব হয়। বিশ্বে মুক্ত সাংবাদিকতায় পরিবেশ নেই বললেই চলে; সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও নেই। সরকারের উচিত ধৈর্য রাখা এবং সাংবাদিকদের উচিত যাচাই-বাছাই ও মতামত নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা।'

গবিসাসের সভাপতি বরাতুজ্জামান স্পন্দন বলেন, ‘ক্যাম্পাসকে বলা হয় সাংবাদিকতার আঁতুরঘর। এখান থেকেই মুক্ত পরিবেশ পাওয়া যায় এবং আমরা যদি চর্চা রাখতে পারি সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে দেশের সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবো। গণ বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত সাংবাদিকতায় খুব চমৎকার পরিবেশ রয়েছে আশা করি ভবিষ্যতেও এই পরিবেশ থাকবে।’

বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সংগ্রামী সকল সাংবাদিক ভাই ও বোনদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং দিনটি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। আজকের এই দিনে সাংবাদিকতা, মুক্ত গণমাধ্যম এবং সবসময় ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অন্যতম সংযোগী ও সহযাত্রী যারা কাজ করছে তাদের সবাইকে আমার গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।’

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আবু হারেস বলেন, ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিসহ সকল সাংবাদিকদের সাধুবাদ জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের অনেক দিনের সংগ্রামের ফসল আজকের এই দিবস। সারাবিশ্বে যেখানে সাংবাদিকরা নির্যাতিত হচ্ছে তাদের মুক্তভাবে সাংবাদিকতা চর্চা করা দেওয়া উচিত। আজকের দিনে যেসকল সাংবাদিক মুক্ত সাংবাদিকতায় পরিবেশ চেষ্টায় আছে তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

এছাড়াও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন র‌্যালি ও আলোচনা সভায়।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে ইউনিস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক জাতিসংঘ ১৯৯৩ সাল থেকে এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবন দানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক সংগঠনগুলো দিবসটি পালন করে থাকে।


মন্তব্য