অর্থের অভাবে আটকে আছে চিকিৎসা, বাঁচতে চান ঢাবি শিক্ষার্থী মুশফিক

বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। মায়ের স্বপ্ন ছিলো ছেলে লেখাপড়া শেষ করে পরিবারের হাল ধরবেন। কিন্তু বিধি বাম। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মুশফিকুর রহিম এখন বাঁচা মরার লড়াইয়ে। দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে তার। ধীরে ধীরে শরীরও অকেজো হতে বসেছে। তার বাঁচার আকুতি কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার পরিবার।

জানা যায়, বিগত একমাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের  কিডনিরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন তিনি।

মুশফিকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায়। বাবাহীন পরিবারের বাড়িতে আছেন মা ও ভাই। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলে।

মুশফিকের রুমমেট আরিফুজ্জামান শাকের বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, মুশফিকের ২টি কিডনিই এখন ড্যামেজ হয়ে গেছে। প্রতি সপ্তাহে ২ বার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। এখন কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করানো লাগবে। মুশফিকের মা তাকে কিডনি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওনার হার্টের সমস্যার জন্য এখন দিতে পারবেন না। সমস্যা হচ্ছে এখন ট্রান্সপ্লান্টের জন্য মুশফিককে জরুরী ইন্ডিয়া নেওয়া প্রয়োজন। যার জন্য ৩৫ লাখ টাকা দরকার কিন্তু এতো বড় অংকের টাকা তার নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না।

চিকিৎসকরা বলেছেন, মুশফিকের দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসা বাবদ দরকার প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।

কিন্তু এতো ব্যয় বহন করা মুশফিকের পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন মুশফিকের পরিবার ও বন্ধুরা।

মুশফিককে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-
ব্যাংক একাউন্ট
ডাচ বাংলা ব্যাংক 
হিসাব: মুশফিকুর রহিম
হিসাব নাম্বার: ১২৬১৫৮০০১২২৫৬

রকেট: 
০১৭৬৪৪১২৬৬৬৪
নগদ: 
০১৭৩৫৪৩৬০৪৫
বিকাশ: 
০১৭৬৪৪১২৬৬৬
প্রয়োজনে: ০১৭৩৫৪৩৬০৪৫ (মুশফিকের বড় ভাই)