বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না: রাবিপ্রবি উপাচার্য
- রাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
- প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৪, ১০:১৯ PM , আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪, ১০:১৯ PM

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মদিন এবং "জাতীয় শিশু দিবস"।
শৈশব থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যে সংগ্রাম জাতির পিতা করে গেছেন তা শিশু-কিশোরদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত করে শিশুদের দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন " জীবনের আটটি জন্মদিন জেলে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর জন্ম না হলে এই বাংলাদেশের জন্ম হতো না"। বাঙালি জাতির এই অবিসংবাদিত নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনসহ মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহিদ,১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ও জাতীয় চার নেতাকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন রাবিপ্রবি উপাচার্য।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এবং ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা, রাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গৌরব চাকমা এবং রাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও সহকারী রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) মাহবুব আরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ধীমান শর্মা। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে বক্তব্য রাখেন রাবিপ্রবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সূচনা আখতার, হিসাব বিভাগের পরিচালক মো: নূরউজ্জামান এবং কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো: কামাল হোসেন।
অন্যদিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য ড. কাঞ্চন চাকমা বলেন"জাতির পিতা শিশুদের অনেক ভালোবাসতেন যা তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে দেখা যায়। শিশুদের প্রতি তাঁর অনেক দরদ, মমতাবোধ ছিল। দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ শিশুরা যেন নিরাপদ ও বাসযোগ্য পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য শিশুদের অনেক গুরুত্ব দিতে হবে।
এইদিন সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে জাতির পিতার ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া আলোচনা সভার শেষে দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।