জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত

চোখের জলে সোহাদকে ঢাবি থেকে শেষ বিদায়

ঢাবি
  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা নামাজ শেষে শেষ বিদায় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহাদ হকের।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল ) দুপুর দুইটার দিকে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লাশ নিয়ে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে তার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে তার স্বজনরা।

জানাজা নামাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

এছাড়াও সোহাদের বন্ধু-সিনিয়র-জুনিয়রসহ শত শত শিক্ষার্থী শেষ বারের মতো বিদায় জানাতে তার জানাজা নামাজে শরিক হন।

এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে সাঁতার কাটার সময় হঠাৎ ডুবে যান সোহাদ। পরে তার বন্ধুরা তাকে ঢামেকে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সোহাদের বন্ধু ও সিনিয়রদের কাছ থেকে জানা যায়, সোহাদের হাঁপানি রোগ ছিলো। এজন্য হয়তো সে মারা গিয়ে থাকতে পারে। অনেকেই আবার তার মৃত্যুর পিছনে হিট স্ট্রোককে কারণ হিসেবে দেখছেন।

তবে তার মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্য-সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ আজ মঙ্গলবার এই কমিটি গঠন করেন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।

কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোন অবহেলা/ত্রুটি আছে কি না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সোহাদের বাড়ি বগুড়ার সদর উপজেলায়। তিনি ঢাবির হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী ছিলেন।


মন্তব্য