গবেষণায় বরাদ্দ বাড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৪:৫১ PM , আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০৪:৫১ PM
-12602.jpg)
প্রায় হাজার কোটি টাকার বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ থাকে যৎসামান্য। এবার এই খাতের উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত বছরের তুলনায় ৫ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন চলছে। বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি চলতি অর্থ বছরের বাজেট ও গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিনেট চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।
এবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
বাজেটে বলা হয়, নতুন অর্থবছরে গবেষণা খাতে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২ দশমিক ১২ শতাংশ যা গত দুই অর্থবছরে ছিল ১৫ কোটি টাকা, মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। পাশাপাশি উদ্ভাবনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর বেতন-ভাতায় বরাদ্দ বেড়েছে। বেতনে খরচ দেখানো হয়েছে ২৯৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৩১.৬৫ শতাংশ। বিভিন্ন ভাতা বাবদ ২১৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং পণ্য ও সেবা খাতে ২২০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে যা যথাক্রমে বাজেটের ২৩.১২ শতাংশ ও ২৩.৩৩ শতাংশ, অর্থাৎ বাজেটের ৭৮ শতাংশই এই খাতগুলোতে ব্যয় হবে। গত বছর এসব খাতে ৭৬ শতাংশ খরচ দেখানো হয়েছিল।
নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বাজেটে ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা আয় হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুদান থেকে, যা মোট আয়ের ৮৫.১১ শতাংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় দেখানো হয়েছে ৯০ কোটি টাকা (বাজেটের ৯.৫২ শতাংশ), যা গতবার ছিল ৮৫ কোটি টাকা। ফলে বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৬০ কোটি ৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৬.৫৮ শতাংশ। এবার ঘাটতি ৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৫.৩৭ শতাংশ।
এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ১১৩১ কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বরাদ্দ দিয়েছে ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ ৩২৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা কম।
বাজেট উপস্থাপনে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন বলেন, আমাদের নিজস্ব আয় খুবই কম বিধায় বাজেট প্রণয়নে আমাদের অনেকাংশে নির্ভর করতে হয় বিমক-এর অনুদানের উপর। ২০২৩-২০২৪ সালের মূল বাজেটে বিমক-এর নিয়মিত অনুদান ছিল ৭৬৮.৮০ কোটি টাকা যা পরবর্তীতে সংশোধিত হয়ে দাঁড়ায় ৭৭৬.৬৮ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিমাণ ৭.৮৮ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, সরকার বর্তমান অর্থবছরের বিভিন্ন সময় প্রজ্ঞাপন জারি করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বাতিল করেছে, কোন কোন ক্ষেত্রে বাজেট প্রথমে ৫০% হ্রাস করেছে, পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বরাদ্দ বাতিল করেছে। আগামী বছরের বাজেটে এই বৎসরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২৭.৭৩ কোটি টাকা বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ বিমক তার অনুদান যথাযথভাবে বৃদ্ধি করছে না, যা অপ্রত্যাশিত। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে তুলনা করলে এই যৎসামান্য বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির চাইতেও কম।