ঢাবি হবে উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান: ভিসি

ঢাবি
  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, ‘ঢাবি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যা গত একশ’ বছর ধরে তার রাজনৈতিক, সামাজিক দায়িত্ব এবং শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব সমানভাবে পালন করে গেছে। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৩ লাখ গ্রাজুয়েট সৃষ্টি করেছে। এখন আমাদের পরিকল্পনা, বিশ্বের শিক্ষা মানচিত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। এটি যদি করতে হয়, তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এবং উদ্ভাবন দুটির ওপরই গুরুত্ব দিতে হবে।’

সোমবার (১ জুলাই) সকাল দশটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তা হলো, ২০৩৫ সাল নাগাদ এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। ২০৪৫ সালে এটাকে গবেষণাপ্রধান বিশ্ববিদ্যালয় করা।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা অ্যাকাডেমিক ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজিটাল মাস্টার প্লান হাতে নিয়েছি। মাস্টার প্লানের প্রথম অংশ অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এছাড়া অ্যাকাডেমিক ডেভেলপমেন্টের যে প্ল্যান তা আমরা সরকারের কাছ পাঠিয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা আগামীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব শিক্ষা মানচিত্রে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবো।’  

শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক গুণাবলি সৃষ্টির করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং আগত পঞ্চম শিল্পবিপ্লব উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে শিক্ষার্থীদের। তাদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার্থীতে পরিণত করতে হবে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোতে পতাকা উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন উড়ানো এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত। পরে ১০৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটার মাধ্যমে দিবসটি উদ্বোধন করা হয়।


মন্তব্য