ফরিদপুরে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০ 

সংঘর্ষ
  © সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ শটগানের গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে বেলা তিনটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ক্রিকেট খেলা নিয়ে কাফুরিয়া সদরদী ও সোনাখোলা মহল্লার দুই দল তরুণের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ওই বিরোধের জেরে আজ সকাল ১০টার দিকে সোনাখোলার কয়েকজন তরুণ কাফুরিয়া সদরদী মহল্লার দুই তরুণকে মারধর করেন। সাড়ে ১০টার দিকে হোগলাকান্দা এলাকার আরেক তরুণকে মারধর করেন তাঁরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে কাফুরিয়া সদরদী এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সেতু পার হয়ে সোনাখোলা এলাকায় হামলা চালান। এ সময় নজরুল শিকারী (৫৪) নামের এক চাল ব্যবসায়ীর দোকানে ভাঙচুর করা হয়। পরে সোনাখোলার লোকজন প্রতিরোধ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষ দেশি অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে একে-অপরের ওপর হামলা করে। এ সময় অন্তত ৩৭ জন আহত হন। পরে ভাঙ্গা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের ৪৫টি গুলি, ৭টি কাঁদানে গ্যাস ও ২টি সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে বেলা তিনটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিবদমান দুই পক্ষ। বেলা দুইটার দিকে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করে। পুলিশ সদস্যরা গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা সবাই কাফুরিয়া সদরদী এলাকার বাসিন্দা। আহত অন্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
সূত্র: প্রথম আলো


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ