কাপ্তাই হ্রদে বোট ডুবে দুই পর্যটক নিহত, উদ্ধার ৫৯

মুত্যৃ
  © সংগৃহীত

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পর্যটকবাহী ইঞ্জিন বোট ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৫৯ জনকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার সন্ধ্যায় শহরের ডিসি বাংলো এলাকায় জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলা থেকে আসা এই পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহারে বের হন। বিকেলে তাদের বহনকারী বোটটি হ্রদের পানির নিচে ডুবে থাকা গাছের গুঁড়ির সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। আশপাশের বিভিন্ন নৌযান, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় দ্রুত তাদের উদ্ধার করা হয়। 

হাসপাতাল নেওয়ার পর দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সফরসঙ্গী পল্টু বর্মন নিহত দুজনের নাম হেনা রাণী বর্মন ও পুষ্প রাণী বর্মন বলে জানিয়েছেন।

পর্যটকদের টিম লিডার জালাল আহমেদ বলেন, ‘সোমবার ভোরে আমরা রাঙামাটি আসি এবং রিজার্ভবাজারের দুটো হোটেলে উঠি। সকাল ১০টার দিকে একটি ইঞ্জিনচালিত বোট ভাড়া করে সুভলং ঘুরে পর্যটন ঝুলন্ত সেতুতে যাই। সেখান থেকে রিজার্ভবাজার ফেরার সময় হ্রদের বুকে কোনো কিছুর ধাক্কায় আমাদের বোটটি ডুবে যায়। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে।’ 

উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সোহেল বলেন, ‘মানুষের চিৎকার শুনে আমরা দ্রুত উদ্ধারের জন্য যাই। মোটামুটি সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তবে এর মধ্যে দুজনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জেনেছি।’

রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশা খীসা জানিয়েছেন, ‘দুজনকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়। বাকিরা মোটামুটি সকলেই সুস্থ আছেন।’

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘সন্ধ্যায় ডিসি বাংলো এলাকায় একটি পর্যটকবাহী বোট ডুবে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে দুজন নিহত এবং শিশুসহ ৫৯ জনকে উদ্ধার করা হয়।’


মন্তব্য