কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সী পরীক্ষার্থী: প্রতারক চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ আটক-২
- কক্সবাজার প্রতিনিধি ,রবিউল আলম ফাহিম
- প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৩১ AM , আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৩১ AM

কক্সবাজারে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে তানজীম উদ্দীন তাহের বাবলা নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এসময় কনস্টেবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা প্রতারক চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড একরাম হোসেনকে আটক করা হয়।
সোমবার কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল ও হোটেল আলহেরায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিলো। কেন্দ্র ছিলো কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল। সেই কেন্দ্রে রোল ৭১১০১৩০ নাম্বারের পরীক্ষার্থী ছিলো হারুন অর রশিদ। হারুন কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে।
কিন্তু পরীক্ষার সময় তার স্থলে কেন্দ্রে হাজির হয় কুতুবদিয়ার লেমশীখালী হাবীব নাজিরপাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে তানজীম উদ্দীন তাহের বাবলা (২০)। বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে বাবলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শহরের হোটেল আল হেরায় অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। আল হেরার ৩২৫ নাম্বার কক্ষ থেকে একরাম নামে প্রতারক চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড একরাম হোসেনকে আটক করে। একরাম কুতুবদিয়ার লেমশীখালী সিদ্দিক হাজিরপাড়া এলাকার ছাবের আহমেদের ছেলে।
এ সময় তার কাছ থেকে টিআরসি পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদ রোল ৭১১০১৩০ এর আরেকটি প্রবেশপত্র, নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ আটক প্রক্সী পরীক্ষার্থী তানজিম উদ্দিন তাহের বাবলার ১টি মোবাইল ও অন্য একজন প্রক্সী পরীক্ষার্থী মিরাজের ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন এবং একরামের নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ৩ টি মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
এসময় চক্রের মূল হোতা গ্রেফতারকৃত একরাম হোসেনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম, প্রক্সী পরীক্ষার্থী মিরাজ, পলাতক পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদ সহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম তার ভাই একরাম হোসেনসহ একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ বাহিনী সহ বিভিন্ন সরকারী নিয়োগ পরীক্ষায় ফটোশপের মাধ্যমে ছবি ও স্বাক্ষর এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল করে আসছে। কিছু বিপদগামী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রক্সী পরীক্ষার্থী হিসেবে ব্যবহার করে আর্থিক ফায়দা লুটছে বলে দাবী জেলা পুলিশের।
গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।