পটুয়াখালীতে বঙ্গবন্ধু'র জন্ম বার্ষিকীর আনন্দ মিছিলে হামলা, আহত-২১! 

বাউফল
সংঘর্ষের একাংশ   © টিবিএম ফটো

পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও ৯ পুলিশ সদস্যসহ  কমপক্ষে ২১ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। 

আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 

উপজেলা যুবলীগ নেতা অরিবিন্ধু ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে বাঁধা দেয়। এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপি'র ছেলে যুবলীগ সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা'র নেতৃত্বে কয়েক'শ নেতাকর্মী এসে তাদের ওপর হামলা করেন। এতে আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ তার অনুসারী গৌতম দাস, অমল চন্দ্র দাস, জাহিদ বক্স, রাজিব, জলিল, পলাশ, রাজা মিয়া, হাসান, বেল্লাল, রিপন ও ইমরান গুরুত আহত হন।  

পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৮-১০ রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের ওসি আল মামুন,  এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই হুমায়ূন কবির, এসআই  আবুল বশার, এস আই আবুল হাসান, এএসআই শাহিন,  কনেস্টবল রাহাত, কনেস্টবল ইত্তি, কনেস্টবল  রবিউল আহত হয়েছেন।  

উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের হাতে, পেটে ও পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকেসহ তার কয়েক অনুসারিকে উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় উপজেলা শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এঘটনায় প্রায় এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ  ছিল। 

এরপর পরিস্থিতি  স্বাভাবিক  হলে দুপুর ১২টার দিকে আ স ম ফিরোজ  এমপির নেতৃত্বে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 

বাউফলের ইউএনও বলেন, ‘দুই পক্ষকেই সহ-অবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাকে কথাও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি। আমি হাতজোড় করে  তাদেরকে অনুরোধ  করেছি। তারা আমার কথা শুনেননি।’ 

বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘এ কর্মসূচীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন ছিল। ঘটনার সময় সংহিসতা মোকাবেলা করতে ৮-১০ রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া  হয়। এসময় আমিসহ ৯ পুলিশ আহত হয়েছে। 

উল্লেখ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপি, সাধারণ  সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল  হক জুয়েল আলাদা আলাদা কর্মসূচীর ঘোষনা করেন। এর মধ্যে আ স ম ফিরোজ এমপি  ও আবদুল মোতালেব হাওলাদার একই স্থানে আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনে  কর্মসূচী ঘোষনা করে। এর পর থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। 


মন্তব্য