০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:০২

তরমুজের চুরির অপবাদে শিশুকে বেধে নির্যাতন 

ছাব্বির রিফাত  © টিবিএম ফটো

তরমুজ চুরির অপবাদে একটি শিশুকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান রোববার মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আদাবাড়ীয়া গ্রামের আবদুল মোতালেব মিয়া, তার ছেলে সবুজ ও সেকান্দার মুন্সির ছেলে মামুন।

জানা যায়, একই গ্রামের মো. আলম মিয়ার শিশুসন্তান ছাব্বির রিফাতকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই তিনজন আসামি বাদীর বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যান।

বাদী আলম তার ছেলেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজতে থাকেন। প্রতিবেশী আবদুস সালাম জানান ওই আসামিরা তার ছেলে ছাব্বির রিফাতকে তুলে নিয়ে গেছেন। বাদী ও তার স্ত্রী রিজিয়া বেগম সবুজের বাড়িতে রাত ৯টার দিকে যান। মা-বাবার সামনেই ওই তিনজন আসামি ছাব্বির রিফাতকে পেটাতে থাকেন।

আলম বলেন, ছাব্বির রিফাতকে আমার বাড়ির সামনে থেকে তরমুজ চুরির অপবাদে ওই তিনজন আসামি তুলে নিয়ে যান। সবুজের ঘরের বারান্দায় ছাব্বির রিফাতের হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সমস্ত শরীর রক্তাক্ত জখম করে। আমি ও আমার স্ত্রী আসামিদের হাত-পা ধরলেও আসামিরা নির্যাতন বন্ধ করেনি।

সবুজ বলেন, ছাব্বির রিফাত আমাদের তরমুজ চুরি করেছে। রিফাতকে আমরা ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। আমরা মারধর করিনি।

বাদী মো. আলম বলেন, আমার ছেলে ছাব্বির রিফাতকে আমার বাড়ির সামনে থেকে তরমুজ চুরির অপবাদে ওই তিনজন আসামি তুলে নিয়ে সবুজের ঘরের বারান্দায় ছাব্বির রিফাতের হাত পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সমস্ত শরীর রক্তাক্ত জখম করে। আসামিদের নিষ্ঠুর নির্যাতনে আমার ছেলে প্রসাব করে দেয়। আমি ও আমার স্ত্রী আসামিদের হাত পা ধরলেও আসামিরা নির্যাতন বন্ধ করেনি। এক পর্যায়ে আমার ছেলে জ্ঞান হারায়। তখন আসামিরা আমার ছেলের উপর নির্যাতন বন্ধ করে। আমি ছেলেকে নিয়ে বরগুনা হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাইলে আসামিরা বাধা দেয়। পরের দিন আমার ছেলেকে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করাই। আমাকে বলে তোমার ছেলে তরমুজ চুরি করেছে। এ কারণে আমরা পিটিয়েছি।