যশোরবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে লোডশেডিং, মাঝ রাতেও থাকেনা বিদুৎ 

যশোর
  © প্রতীকী ছবি

দূর্বিসহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে যশোর জেলা শহর সহ পার্শ্ববর্তী সকল ইউনিয়নের মানুষ। অসহনীয় গরমের মধ্যে, মাঝ রাতে একাধিকবার এবং দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। যশোরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিনে চার থেকে ৫ বার এবং রাতে দুই থেকে তিন বার লোডশেডিং হয়। কখনো কখনো মাঝ  রাতে একটানা দুই থেকে তিনঘণ্টা সময় লোডশেডিং হয়। ফলে অসহনীয় গরমে নিদ্রায় থাকা শিশু সহ সকল মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। এদিকে সংশ্লিষ্ট বিদুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন চাহিদার তুলনায় বিদুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। 

শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার রবিন শেখ বলেন, বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে বিদুৎ চলে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা পর রাত ৩টার দিকে বিদুৎ আসে। আমার বাড়ির আশেপাশে সকলের ঘুম ভেঙে যায়। 

শহরের নীলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আসিফ সেতু জানান, গত ৩-৪ দিন ধরে রাতে একটানা ২ থেকে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং হয়। গরমে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না। বিদুৎ চলে যাবার সাথে সাথে ফ্যান এসি সব বন্ধ হয়ে যায় আর সকলের ঘুম ভেঙে যায়। সারাদিন রোজা রেখে রাতে ঘুমটাও ঠিকমতো হয় না। 

শহরের ধর্মতলা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, গত তিন চারদিন ধরে যশোরে  রাতের বেলায় ভয়াবহ লোডশেডিং হচ্ছে। রোড লাইট জ্বলছে, কিন্তু বাসাবাড়ির বিদুৎ থাকছে না। বিদুৎ গেলে একটানা দুই- তিন ঘণ্টা পর আসে। অসহ্য গরমে ঘুম তো দূরের কথা,  বাহিরে বের হয়ে রাস্তায় হাটাহাটি করতে হয়। 

একই এলাকার ইমরান হোসেন জানান, রাতে বিদুৎ চলে যাবার সাথে সাথে গরমে গোটা এলাকার মানুষ উসপিশ করে। দিনে যত লোডশেডিং হোক না কেন, রাতে এভাবে লোডশেডিং হলে স্বাভাবিক জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। 

তিনি আরও বলেন, শুনেছি শহরের অনেক জায়গায় নাকি আলোকসজ্জা করা। এ সকল আলোকসজ্জা বন্ধ করে অপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক লাইটগুলো বন্ধ করে বিদুৎ সাশ্রয় করা যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

যশোর শহরে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন লিমিটেড-১ ও ২। বিরতরণ বিভাগ-২ এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী দ্বীন মহম্মদ মহিন বলেন, আমার এলাকায় দৈনিক চাহিদা ৫৮ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ পাচ্ছি ৪৮ মেগাওয়াট। যার কারনে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হতে হচ্ছে। 

যশোরবাসীর দাবি একেতো অন্যান্য বছরে তুলনায় এবছর যশোর অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃষ্টির কোন আশা নেই, সেক্ষেত্রে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পেলে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্টাদের দৃষ্টি দেওয়া খুব দরকার ।


মন্তব্য