যশোরের চাঁচড়ায় রনি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার 

যশোরে
  © টিবিএম ফটো

হত্যাকারীরা ছয়জন মিলে প্রথমে মদ্যপান করে, এরপর পরিকল্পিতভাবে রনিকে ডেকে হত্যা করেছিলেন তারা। হত্যার পর লাশ মুক্তেশ্বরী নদীতে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন। চাঞ্চল্যকর চাচড়ার রনিহত্যা মামলায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন এ মামলার অন্যতম আসামি ইসরাজুল।

একই সাথে আসামিদের ফেলে যাওয়া হত্যায় ব্যবহৃত চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার সকালে হত্যার ঘটনাস্থল ভাতুড়িয়া গ্রামে যেয়ে এসব ধারালো অস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়।

ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, রনি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইসরাজুলকে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গত মঙ্গলবার ১ দিনের রিমান্ডে নেন তদন্ত কর্মকর্তা ইনসপেক্টর মো. শহিদুল ইসলাম। এরপর ইসরাজুলের স্বীকারোক্তিতে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুক্তেশ্বরী নদীর পানির নিচ থেকে ১টি বার্মিজ চাকু, ২টি গাছিদা ও ১টি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে বার্মিজ চাকুটি আসামি ইসরাজুলের এবং অন্য ধারালো অস্ত্রগুলি তার সঙ্গীদের।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় রনিকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রকি ও রবি নামে দুই যুবক। পরদিন ভাতুড়িয়ার মুক্তেশ্বরী নদীতে রনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ইসরাজুল ও তার বাবা নুরু মহুরিসহ ১২ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের মা ছয়েরা বেগম। এমামলায় ইসরাজুলের রিমান্ডে নেয়ার পর এসব চাঞ্চল্যকরসব তথ্য জানায় ইসরাজুল।


মন্তব্য