মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে নোয়াখালীতে সংবাদ সম্মেলন 

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে নোয়াখালীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।
 
সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে জেলা শহরের হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি হল রুমে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বি.টিএ.) নোয়াখালী জেলা শাখার আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে নোয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ এর সঞ্চালনায় সংবাদ লিপি পাঠ করেন সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. আবুল কাসেম। 

তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন এ দেশের ৫% মানুষ। বাকি ৯৫% এর সুফল থেকে বঞ্চিত। সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সমঅধিকার নিশ্চিতের জন্য আমাদের এই দাবী।  দেশের শিক্ষানীতি হবে এক এবং অভিন্ন। দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। সেখানে আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫শ’ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে থাকি। যা সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে তুলনা করতে গেলে পাহাড়সম বৈষম্য। 

তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একটাই দাবি জানিয়ে আসছি তা হলো মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা হয়নি। দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে দ্রুত জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন, শিক্ষা বিনিয়োগে ইউনেস্কো-আইএলওর সুপারিশ সমুহ বাস্তবায়ন এবং সবার জন্য শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবী।

যদি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় বাজেট পাশের পূর্বেই মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসে তাহলে আগামী ১১ জুলাই ২০২৩ইং থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন করার কঠোর হুশিয়ারী প্রদান করেন এই শিক্ষক নেতা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বি.টি.এ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ.বি.এম আব্দুল আলীম, কেন্দ্রীয় সহ-শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মদ আলমগীর, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা দফতর সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন মঞ্জু ও আব্দুল বাতেন সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।