একজন স্বপ্নজয়ী শহিদুল, বেকারদের অনুপ্রেরণার নাম
- মোঃ রবিউল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৯ PM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৯ PM

যুব উন্নয়ন থেকে হাস, মুরগী, গরু ও ছাগলের উপর প্রশিক্ষন নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার মোঃ শহিদুল ইসলাম আজ স্বাবলম্বী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের মৃত ছফর আলীর পুত্র মোঃ শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ যুবউন্নয়ন একাডেমি থেকে হাস,মুরগী, গরু,ছাগল পালন ও চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষন নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি স্থানীয় বাজারে একটা মডেল ফার্মেসিও করেছেন। যেখানে পশুপাখির ঔষধ সহ কিছু হিউম্যান ঔষধ রেখেছেন। যেখান থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ হাস,মুরগী, গরু,ছাগল সহ বিভিন্ন পশুপাখির চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে অতি সহজে।
এছাড়া বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পশুপাখির চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হচ্ছে। এলাকার সাধারণ মানুষ অতি সহজে হাস,মুরগী, গরু,ছাগলসহ বিভিন্ন জাতের পশুপাখির চিকিৎসা সেবা পেয়ে অনেক আনন্দিত। রাত নেই দিন নেই যখন তখন ডাকলে ছুটে যান গরিবের বন্ধু খ্যাত ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম।
তিনি নিজ বাড়িতে ছোট ছোট ঘর করে দেশি প্রজাতির মরগি এবং বয়লার মুরগির খামার গরে তুলেছেন। এতে করে পরিবারের মাংস ও ডিমের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে টাকা উপার্জন করছেন।
তিনি বাড়িতে ছোট পরিসরে কয়েকটি উন্নত জাতের গাভিও পালন করছেন। গাভী থেকে প্রতিনিয়ত দুধ পাচ্ছেন। দুধ দিয়ে নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে অর্থ আয় করছেন। এ কাজে শহিদুল ইসলামকে তার স্ত্রী ও সন্তান সহযোগিতা করেন।
শহিদুল আজ এলাকাবাসীর এক অনুপ্রেরনার নাম। কেননা তিনি গরুর গবর দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করে পরিবারের জ্বালানী চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি প্রতিবেশিদের জ্বালানী চাহিদা মেটাতে সহযোগিতা করছেন। এতে করে পাশের লোকজন খুবই খুশি।
শহিদুল আজ এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে সমবায় সমিতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অর্থ সঞ্চয় করতে অনুপ্রাণিত করছেন। এসমিতির মাধ্যমে তিনি সরকারিভাবে বিভিন্ন জনকে খড় কাটার মেশিন, বায়োগ্যাস স্থাপনসহ অনেক সরকারি অনুদান সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। এতে করে এলাকাবাসী নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে।
তাই এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে একজন স্বপ্নজয়ী শহিদুল ইসলাম এর নাম। যিনি তার স্বপ্নকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে একজন বেকার যুবক নিজের পায়ে দাড়াতে পারে।