নরসিংদী'র জামাতা রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর

নরসিংদী
রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তা মতিউর ও ছেলে ইফাত  © সংগৃহীত

নরসিংদীর জামাতা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি'র ছেলে ইফাত রাজধানীর সাদেক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকার ১টি ছাগল কেনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বের হয়ে আসে মতিউর-লাকির দম্পতির পরিচয়।

সম্প্রতি ফেসবুকে কোরবানীর জন্য ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ইফাত নামের এক তরুণ। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে বলে গুঞ্জন ওঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাগলটি কিনেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকির ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত।

সেই সঙ্গে তিনি আরও ৪টি গরুও কিনেছেন ৩৭ লাখ টাকায়। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার কোরবানী কিনেছেন মতিউর এর ছেলে ইফাত। সে গত কোরবানীতেও প্রায় ৬০ লাখ টাকার পশু ক্রয় করেছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন তাদের কাছে বিক্রি করা এক বিক্রেতা। এতো টাকায় কোরবানী পশু কিনলেও এর আগে আলোচনায় আসেননি তিনি। কিন্তু এবার ১৫ লাখ টাকায় রাজধানীর সাদেক এগ্রো থেকে একটি ছাগল কিনে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় ওঠলে ছাগলটি ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের ইমপেরিয়াল সুলতানা ভবনের নিচ তলা থেকে অন্যত্রে সরিয়ে রাখেন।

পাশাপাশি ভাইরাল হওয়া ইফাতের ফেইসবুক প্রোফাইল লক করে বন্ধ করে দেওয়া হয় তার ব্যবহৃত ফোনটি। খবর নিয়ে জানা যায়, মতিউর রহমান একজন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি কাস্টমস আপীল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট। রাজধানী ঢাকায় তার স্ত্রী সন্তান, আত্মীয়দের নামে-বেনামে একাধিক প্লট রয়েছে।

এছাড়াও নরসিংদীর রায়পুরার মরজালে প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপরে গড়ে তুলেছেন ওয়ান্ডার পার্ক নামে আলিসান রিসোর্ট। স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এত টাকার মালিক কিভাবে হয়? ১৫ লাখ টাকা দিয়ে যে ব্যক্তি একটা খাশি কিনতে পারে, এতেই বুঝা যায় তারা কি পরিমাণ টাকার মালিক হয়েছেন। আর এসব অবৈধ টাকার বিনিময়েই নিজের স্ত্রীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তারা আরও বলেন, এবার দেখার পালা দুদক তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্হা নেয়। 

এদিকে ডেইলি বাংলাদেশের কাছে মতিউর রহমান স্বীকার করেন, ইফাত নামের ওই তরুণ আমার ছেলে না। আমার এক ছেলে রয়েছে, তার নাম তৈাফিকুর রহমান। আলোচিত ইফাত আমার ছেলে নন। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমি কোনোদিন তাকে দেখিনি। তবে ইফাত ও মতিউর রহমানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ছবিটির সত্যতা এখনও যাচাই করা হয়নি। 

এবিষয়ে জানতে, লায়লা কানিজ লাকি'র মোবাইল ও হোয়াইটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ