সিঁধ কেটে বৃদ্ধাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার চুরি

নোয়াখালী
  © সংগৃৃহীত

নোয়াখালীর কবিরহাটে পুলিশ এক বৃদ্ধার পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। নিহত ফিরোজা বেগম (৭৫) উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চায়ের বাড়ির মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের স্ত্রী।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চায়ের বাড়ির পুকুর পাড় থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে একই বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফিরোজা বেগম স্বামীর ঘরে একা থাকতেন। প্রতিদিনের মতো ফিরোজা বেগম নিজ শোবার ঘরে একা ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তার বড় ছেলে রফিক উল্যাহ ঘুম থেকে উঠলে মায়ের ঘরের দুটি দরজা খোলা দেখেন। পরে তাকে তার এক ভাগনে জানান, তার মায়ের বসতঘরের সিঁধ কাটা রয়েছে। পরবর্তীতে বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ভিকটিমের পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ভিকটিমের এক নাতি তার বড় ছেলে রফিক উল্যাহকে বিষয়টি জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সব সময় হাতে দুটি স্বর্ণের বালা, গলায় হার, কানে দুল ও হাতে দুটি স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই স্বর্ণালংকার লুট করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়। নিহতের স্বজনদের দাবি কানের একটি দুল কান থেকে নেওয়ার সময় তার কানেও রক্তাক্ত জখম করা হয়। মরদেহের সঙ্গে বৃদ্ধার ব্যবহৃত কোনো স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়নি। দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। স্বর্ণের লোভেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুময়ান কবির বলেন, ‘বৃদ্ধার পা বাঁধা ছিল এবং মুখে রক্ত ছিল। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি একটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’


মন্তব্য