ভারত থেকে বেনাপোলে ৭৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

পেঁয়াজ
  © সংগৃহীত

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় দীর্ঘ আড়াই মাস পর আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৭৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।

সোমবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় একে একে পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। নানা প্রক্রিয়া শেষে রাত ১০টায় শুরু হয় খালাস। সরকার আইপি উন্মুক্ত করায় আড়াই মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে আমদানির খবরে প্রথম দিনেই কেজিতে ২০ টাকা কমে ৭৫ টাকায় খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। আমদানি বন্ধের অজুহাতে এক দিন আগেও দেশের বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল পেঁয়াজ।

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে ভুল পরিকল্পনার মাশুল দিচ্ছে জনগণ, লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন
 
পেঁয়াজচাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে আমদানি বন্ধ করেছিল। তবে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ায়। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে। অবশেষে বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
 
এদিকে পণ্যের গুণগত মান যাচাই-বাছাই শেষে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে বলে জানান বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী শ্যামল কুমার নাথ।
 
দেশে প্রতিবছর পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদন হয় ৩২ লাখ মেট্রিক টন। বাকি অংশ আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। যার অধিকাংশ আসে ভারত থেকে। গত রোববার (৪ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। 
 
একই দিন ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয়সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন তারা। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সে জন্য সবসময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক ও ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।’


মন্তব্য