শেষ মুহুর্তে চড়া সেমাই ও মাংসের দাম

দাম
  © বাংলাদেশ মোমেন্টস

দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) শুরু হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মাঝখানে শুধু আছে একটা রাত। পছন্দের পোশাক কেনা শেষে এবার রান্নার উপকরণ কিনতে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়। ঈদের শেষ মুহূর্তে বাজারে বেড়েছে সেমাই, গরম মসলা, মাংসসহ রান্নার উপকরণের বিক্রি। চলবে মধ্যে রাত পর্যন্ত। 

তবে চাহিদা বাড়ায় বিক্রেতারা চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। মান ভেদে প্যাকেট সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে দেড় হাজার টাকায়। আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজিতে।

ঈদের আগ মুহুর্তে বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সেমাইয়ের। মানভেদে সাধারণ ও লাচ্ছি সেমাই বিক্রি হচ্ছে প্রতি প্যাকেট ৫০ থেকে ১৫০০ টাকায়। বিক্রি বেড়েছে গুড়াদুধ, চিনি ও গরম মসলার। তবে দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 

এক ক্রেতা বলেন, ‘যে যে রকম জিনিস কেনে, তার কাছে সে রকম দাম নেয়। মানে বাজার বুঝে। বাজারে যেভাবে চলছে সেভাবেই সবাই কিনছে। যার যার ইচ্ছা মতো। কেউ তো আর প্রতিবাদ করে না।’ 

গরুর মাংস কিনতে কোনো দাম দরের সুযোগ পাচ্ছেন না ক্রেতারা। একদাম ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। খাসির মাংসের দাম ১২০০ টাকা কেজি। আর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজিতে। 

এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে যে কোনো উৎসবের সময় পণ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায়। যেমন আজকে মাংসের দাম ৭৮০ টাকা করে। এতে কিন্তু ব্যবসায়ীরাই লাভবান হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।’ 

দাম তেমন না বাড়লেও বিক্রি বেড়েছে শশা, টমেটো, গাজরের। কেনা যাচ্ছে গড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে। 


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ