গবিতে চড়ুইভাতি: ফিরিয়ে দিল শৈশবের স্মৃতি

চড়ুইভাতি
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২৪ ব্যাচের চড়ুইভাতি  © মোমেন্টস ফটো

‘চড়ুইভাতি’ শব্দটি শুনলেই কেমন চনমনে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। সময়ের স্রোতে স্মৃতিতে ধুলো জমলেও শব্দের চিত্রকল্পে ধুলো জমে না। পৌষ-মাঘের শীত আর বাড়ন্ত শীতের সবজি চুরি করে সাধের চড়ুইভাতির স্মৃতি কুয়াশাঘেরা জীবনে যেনো আগুনের উষ্ণতা। শৈশব-কৈশোরের ফেলে আসা হাজারো মধুর স্মৃতির মধ্যে অন্যতম জায়গা দখল করে আছে পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে ‘চড়ুইভাতি’ খেলা।

পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের(গবি) আইন বিভাগের ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মিলে ক্যাম্পাসে চড়ুইভাতির আয়োজন করল। আনন্দঘন পরিবেশে ১৫ ডিসেম্বর সবাই মিলিত হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদাম তলায়। যদিও শৈশবের মত করে সবাই যার যার জায়গা থেকে সকল কিছুর ব্যাবস্থা করেছে। সকলে মিলে বাজার করা থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল কিছু নিজেরাই ব্যাবস্থা করেছে। এ যেনো শৈশবে ফিরে যাবার আরও একটি সুযোগ যার কারনে হয়তো কেউ এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি।

বাজার নিয়ে যথাসময়ে হাজির হওয়ার পরই শুরু হয় কাজের ধুম। দায়িত্ব অনুযায়ী সকলে যে যার মতো শুরু করল কাজ। কেউ পানি আনা, কেউ কাটাকাটি, কেউবা চুলা জ্বালানো, কেউ আবার হাঁড়ি-পাতিল পরিষ্কারের কাজে নেমে গেল। কাঠ কুড়ানো, চুলা বানানো, চাল ধোয়া, মাংস কাটাসহ সব কাজই করা হলো মিলেমিশে। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেলো রান্নার তোড়জোড়।

রান্নার পাশাপাশি গান, গল্প, আড্ডা ও ছবি তোলার কাজ চলতে থাকল সমানতালে। রান্নার সুগন্ধ আর আড্ডাবাজিতে এক অন্যরকম ভালোলাগার পরিবেশ সৃষ্টি হলো। বিকেল আড়াইটার দিকে শুরু হলো ভোজন পর্ব। রাঁধুনি ইলমা, মারিয়া, শ্রাবণী আর আপির রন্ধনশিল্পে মুগ্ধ সবাই।

শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাথে পরিচয়ে রোমাঞ্চকর এক মুহূর্ত পার করছে সবাই। এ মিলনমেলা যেন ক্যাম্পাসে নিজ উপজেলার মাটির গন্ধ ফিরিয়ে এনেছে। যেন নিজ পরিবারের বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছে, গল্প করছে। সব মিলিয়ে শৈশবের সেই রোমাঞ্চকর দিনগুলোতে যেন ফিরে গেল সবাই আরেকবার।

দীর্ঘদিনের জল্পনা কল্পনাকে ছাপিয়ে এ আয়োজন করতে পেরে শিক্ষার্থীরাও খুবই আনন্দিত। সকলে মিলে একসাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক আনন্দ করেছে।