পরকিয়া সন্দেহে স্ত্রীর বন্ধুকে ১৫ টুকরো করল স্বামী

আন্তর্জাতিক
পরকিয়া সন্দেহে স্ত্রীর বন্ধুকে ১৫ টুকরো করল স্বামী  © প্রতিকী ছবি

ভারতের গাজিয়াবাদের খোড়াপুশতা এলাকায় এক ভয়াবহকাণ্ড। এবার পরকীয়া সন্দেহে এক ব্যক্তির দেহ ১৫ টুকরো করে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজিয়াবাদে। সেখানে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীর বন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এক ব্যক্তির দিকে। অভিযুক্ত মিলাল প্রজাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


জানা গিয়েছে, মিলাল প্রজাপতির দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধু অক্ষয় কুমারের সম্পর্ক বহুদিনের। পেশায় রিক্সাচালক মিলালের সন্দেহের তালিকায় অক্ষয় ছিলেন বহুদিন। মিলালের দ্বিতীয় স্ত্রী অক্ষয়ের সঙ্গে একবার পালিয়েও গিয়েছিলেন। পরে ৩০ বছর বয়সী ওই মহিলা ঘরে ফিরে আসেন। দ্বিতীয় স্ত্রী পালানোর ক্ষোভ মনে মনে বহুদিন ধরেই ছিল মিলালের। সেই ক্ষোভ থেকে অক্ষয়কে মিলাল খুন করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় মিলালের দ্বিতীয় স্ত্রী বাড়ি ছিলেন না। তখনই অক্ষয়কে বাড়িতে আমন্ত্রণ করেন মিলাল। এরপর অক্ষয়ের ড্রিঙ্কে কোনও সন্দেহজনক কিছু মিশিয়ে তাকে খুন করে মিলাল। পরে সেই দেহ কেটে ১৫ টুকরো করে ফেলে সে। পুলিশি জেরার মাঝে মিলাল জানিয়েছে সে ধারালো করাত জাতীয় কিছু অস্ত্র ব্যবহার করেছে। পরে সেই দেহ তিনটি ছোট ছোট ব্যাগে স্থানীয় ঝোপে ফেলে দেয় সে। তিন সন্তানের বাবা মিলালের এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য। সে তার পরিবার নিয়ে যে ভাড়া বাড়িতে থাকত, সেই বাড়িওয়ালাই ঘটনা নিয়ে এফআইআর দায়ের করেছে। এছাড়াও ২৩ বছর বয়সী অক্ষয়ের পরিবার তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত মিলাল।

পুলিশ জানিয়েছে, যে প্যাকেটে অক্ষয়ের মস্তকের অংশ ছিল, তা উদ্ধার হয়েছে। ফলে হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, যে রাতে অক্ষয় মিলালের বাড়ি আসেন, সেই রাতে মিলালের দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁর সন্তানকে দেখতে দিল্লির হাসপাতালে ছিলেন। তাঁর কন্যা সন্তান অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাকে নিয়েই হাসপাতালে ছিলেন মিলালের স্ত্রী। সেই সময় বাড়িতে যেহেতু কেউ ছিলেন না, তাই ঘটনার সাক্ষী হিসাবে কাউকে এখনও পায়নি পুলিশ। তবে তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে বাকি তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।


মন্তব্য