জাতিসংঘের কাজেও নারীরা নয়, আফগান তালেবানের ফতোয়া

তালেবান
আফগান নারী  © ডয়েচেভেলে

আফগান মেয়েরা জাতিসংঘে কাজ করতে পারবে না বলে ফতোয়া জারি করেছে তালেবান সরকার। জাতিসংঘের মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।

এরপরই আফগানিস্তানে জাতিসংঘের কর্মীদের ৪৮ ঘণ্টা অফিসে না আসতে বলা হয়েছে। জতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেসের মত হলো, তালেবানের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া যায় না এবং এটা অভাবনীয় সিদ্ধান্ত।

মুখপাত্র জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষের সাহায্য দরকার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত খুবই চিন্তার।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স তালেবান নেতা ও প্রশাসনের কাছ থেকে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘তালেবানের এই পদক্ষেপ আমাদের কর্মকাণ্ডের ওপর ঠিক কিভাবে প্রভাব ফেলে তা আমরা এখনো খতিয়ে দেখছি এবং আমরা আগামীকাল কাবুলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সাথে বৈঠক করার আশা করছি। এই বিষয়ে আমরা আরো পরিষ্কার হওয়ার চেষ্টা করছি। যদিও (নারী কর্মীদের কাজ বন্ধের আদেশ সম্পর্কে) আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত লিখিত কিছু নেই।

এদিকে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নানগারহারে নারী কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে আসা বন্ধের বিষয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আফগানিস্তানে অবস্থিত জাতিসংঘের মিশন (ইউএনএএমএ)।

জাতিসংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নানগারহারের রাজধানী শহরের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘জালালাবাদে নারী কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার হুমকির কারণে সংস্থাটির সকল জাতীয় কর্মী (পুরুষ ও নারী) ৪৮ ঘণ্টার জন্য জাতিসংঘের অফিসে আসবে না।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২০ বছর পর ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসে তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। অবশ্য সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখনো পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।

এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে তালেবান কর্তৃপক্ষ দেশটির বেশিরভাগ নারী এনজিও কর্মীকে কাজ করা থেকে বিরত রেখেছে। সাহায্য কর্মীরা বলছেন, এই পদক্ষেপের কারণে নারী সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছানো আরো কঠিন হয়ে উঠেছে এবং এতে করে দাতারা তাদের তহবিল আটকে রাখতে পারে।

সূত্র: ডয়েচেভেলে, আল জাজিরা


মন্তব্য