ভয়াবহ বন্যায় দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩১ জনের প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক
দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বন্যা   © সংগৃৃহীত

অতিবৃষ্টির কারণে ভূমিধস ও বন্যায় দক্ষিণ কোরিয়ায় আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৬ জুলাই) টানেলের নিচে আটকে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। এতে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।

এ ঘটনায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটির অনেক এলাকা। দেশজুড়ে অবকাঠামোগত অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বন্যার কারণে বিভিন্ন টানেলে অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। উদ্ধারকারীরা টানেলে আটকে থাকা গাড়ির কাছে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, উত্তর চাংচেওং প্রদেশের বাঁধ প্লাবিত হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে সেনাবাহিনীকে আদেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সো।

এদিকে ৬৮৫ মিটার দীর্ঘ টানেলে কতজন লোক এখনও আটকা পড়ে আছেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে, ১৫টি যানবাহন ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানান, মধ্য-উত্তর চুংচেং প্রদেশের চেওংজু শহরের কাছে ওসোংয়ের টানেলটি আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে। কাছের একটি নদীর পাড় হঠাৎ ফেটে যাওয়ায় টানেলে খুব দ্রুত পানি ঢুকে পড়ে। এতে চালক ও যাত্রীরা সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি।

আজ রোববার (১৬ জুলাই) সকালে একটি বাসের ভেতর থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটি শনিবার অন্য একটি মৃতদেহ আবিষ্কার এবং নয়জন জীবিত উদ্ধারের পরে। শনিবার একজনের মরদেহ ও নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করে উদ্ধারকর্মীরা।

শনিবার দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রায় ৩০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোরিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, দেশটি সাধারণত বছরে ১০০০ মিমি থেকে ১৮০০ মিমি বৃষ্টিপাত দেখা যায়। যদিও এর বেশির ভাগই গ্রীষ্মের মাসগুলোতে হয়।

এদিকে, শনিবার সকালে গোয়েসান বাঁধ তলিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় প্রায় সাত হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।