বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল কার্যকর করলো ভারত
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৫ PM , আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৫ PM

ভারতে বিতর্কিত বিল পাস হওয়ার পর চার বছর পেরিয়ে গেছে। এতদিনে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১১ মার্চ) এই ঘোষণা দেওয়া হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে দেশটি। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকারের এই ঘোষণা এল।
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সই করার ছয় মাসের মধ্যে আইনের নির্দিষ্ট ধারা-উপধারা যুক্ত করতে হয়। অন্যথায় লোকসভা কিংবা রাজ্যসভার নির্দিষ্ট কমিটির কাছে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২০ সাল থেকে আইন কার্যকর করার সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে আসছিল।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাস করিয়েছিল মোদী সরকার। সংসদের দু’কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিন ধরে সিএএ কার্যকর নিয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, সিএএ আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলো থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও এতে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি। অর্থাৎ ওই ছয় সম্প্রদায় ছাড়া পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান বা অন্য কোনো দেশ থেকে আসা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।
উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই মূলত আপত্তি উঠেছিল সিএএ নিয়ে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সিএএ কার্যকর হলে শরণার্থীদের ব্যাপক ভিড় বৃদ্ধি পাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে। তার ফলে ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত সমস্যা প্রকট হতে পারে। নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই অনেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
পাশাপাশি আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।