গুলি খাবো বা মরে যাবো, কখনো মাথায় আসেনি, শুধু দেশকে স্বাধীন করার কথাই ভেবেছি

স্বাধীনতা
অধ্যাপক এস এম মান্নান  © টিবিএম ফটো

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা হঠাৎ কোনো আকস্মিক ঘটনার প্রাপ্ত ফলাফল নয়। এই স্বাধীনতা অর্জনের ভিত্তি তৈরী হয়েছে লাখো মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষা, দুঃখ-দুর্দশা, অন্যাচার-বঞ্চনা ও দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের সমন্বয়ে। আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি বাংলাদেশ তার ৫৩ বছরের পথচলা শেষে আজ ৫৪ বছরে পা রাখলো। এই বিশেষ দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও তার পরবর্তী সময়ের ইতিহাস জানাতে দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টসের মুখোমুখি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. মান্নান। তাঁর আরো একটি পরিচয় আছে যা অত্যন্ত গর্বের। তিনি রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলা মায়ের এই সূর্যসন্তান তরুণ প্রজন্মের জন্যও কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন।

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: ঠিক কখন ও কীভাবে সিদ্ধান্ত নিলেন দেশকে স্বাধীন করার জন্য আপনি যুদ্ধে যাবেন?

অধ্যাপক এস এম মান্নান: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ও ২৫ মার্চ দিবাগত রাতের গণহত্যার পরে আমরা সংগঠিত হতে থাকলাম। এক পর্যায়ে আমাদের ওপর হুমকি আসা শুরু হলো। যশোর শহর থেকে আমার বাড়ি ২০ মাইল দূরে। আর্মিরা মাঝে মাঝে আসে, তখনও রাজাকার পুরো সংগঠিত হয়নি। আমরা নদী পার হয়ে চলে যেতাম, রাতে নৌকায় ঘুমাতাম। মার্চ-এপ্রিলের দিকে আস্তে আস্তে রাজাকাররা সংগঠিত হতে থাকলো। যেহেতু আমার বাবা আমাদের এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন, এজন্য তখন আমরা আমাদের গ্রামের বাড়ি ছেড়ে চার কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত এলাকা আশ্রয় নিই। সেখানে থাকা অবস্থায় রাজাকাররা আমাদের বাড়িতে হানা দিয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। শুধু লুটই নয়, আমাদের গরুগুলো ভাগ করে নেয়। এসব যখন চলতে থাকলো তখন আমি এসএসসিতে পড়ি। এটা আমার জন্য হুমকি হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখে আমার বাবা বললেন, তোমাকে আর রাখা যাবে না। তুমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করো।

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: পরিবার থেকে সমর্থন পেয়েছিলেন? নাকি কাউকে না জানিয়েই যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন?

অধ্যাপক এস এম মান্নান: রাজাকারদের অত্যাচার ও এসব অবস্থা দেখে আমার বাবা বললেন, “তোমাকে আর রাখা যাবে না। তোমাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে।” যেহেতু ১৯৭১ সালে বৃষ্টি হয়ে বিশাল বন্যা হয়েছিলো; তখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় কীভাবে যুদ্ধে যাবো? সেই সময় একটা শরণার্থী শিবিরের নৌকা ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। ওই নৌকায় আমার বাবা নিজের হাতে আমাকে তুলে দেয়। এভাবে আমি ভারতে চলে গেলাম। কিন্তু ভারতে আসাটা ছিলো অনেক কঠিন। দুইদিন হেঁটে, কিছু না খেয়ে, কিছু পথ নৌকায় করে দুইদিন পর আমরা বনগাঁও গিয়ে পৌঁছালাম। সেখানে দুই সপ্তাহ শরণার্থী শিবিরে থাকি। এটা ছিলো ১৯৭১ সালের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা। 

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো?

অধ্যাপক এস এম মান্নান: ট্রেনিং যখন শুরু হলো তখন কি যে কষ্ট। জঙ্গলের ভেতর থাকতে হয়, সাপের ভয়। প্রতিদিন আমাদের ছয় কিলোমিটার দৌড়াতে হতো। এক-দেড় ঘণ্টা পিটি করার পরে আমাদের শুধু পুরি আর চা খেতে দিতো। ওইখানে এক মাস থাকার পরে আমাদের ‌‌'ইয়ুথ ক্যাম্পে' নিয়ে যাওয়া হলো। এইটা ব্যারাকপুর, ইছামতী নদীর পারে। ইয়ুথ ক্যাম্পে এক মাস থাকলাম। আমার হাতের লেখা ভালো হওয়ায় আমাকে আলাদা ট্রেড দেওয়া হলো এবং কোম্পানির ইনচার্জ হয়ে গেলাম। তিনটা থিওরির উপর ট্রেনিং করানো হতো। একটা ছিলো 'হিট অ্যান্ড রান'। যেহেতু আমরা সংখ্যায় কম, মারো এবং পালাও। আর একটি ছিলো 'অপটিমাম ফায়ার ইন মিনিমাম টাইম'। এর মানে হচ্ছে অল্প সময়ের ভেতর অধিক গুলাগুলি করো, যাতে অপজিশন বুঝতে না পারে যে আমরা সংখ্যায় কত। আরেকটি হলো 'শিউর অ্যাবাউট দ্যা ডেথ'। যার মানে তুমি যাকে মারছো, সে মরছে কিনা এইটা নিশ্চিত হওয়া।

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: আপনার যুদ্ধে যাওয়ার কারণে আপনার পরিবার কি পাকিস্তানি বাহিনী বা তার দোসরদের অত্যাচারের শিকার হয়েছিলো?

অধ্যাপক এস এম মান্নান: বাড়ি ছেড়ে যখন একটি দূরের এলাকায় আশ্রয় নেই, তার খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমি মুক্তিযুদ্ধে চলে যাই। এরপর একদিন দিনের বেলায় রাজাকাররা আমাদের বাড়িতে হানা দেয়। তারা আমাদের পুরা বাড়ি লুট করে। শুধু লুট নয়, আমার বাবার যত মেডিকেলের বই, আমাদের যত আসবাবপত্র ছিলো সব নদীর মধ্যে ফেলে দেয়। যত গরু ছিলো সব লুট করে নিয়ে যায়। এমনকি আমাদের জমিও তারা ভাগ করে নেয়। দীর্ঘদিন এগুলো রাজাকারদের দখলে ছিলো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফিরে এলে জায়গা-জমি পাইলেও ঘরের সকল আসবাবপত্র, বইপত্র, গরু এসব আর ফিরে পাইনি। শুধু ঘরটাই ফেরত পেয়েছিলাম।

এছাড়া আমার বাবার উপরেও আক্রমণ হয়েছিলো। আমার বাবা পেশায় একজন ডাক্তার ছিলেন। ওনার হাত ধরেই আমাদের এলাকায় প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ ও পরে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়। জাতির পিতা আর আমার বাবার সাক্ষাৎ হয়েছে, তাঁরা একসাথে বৈঠক করেছেন, খাবার খেয়েছেন।বাবার একটা চেম্বার ছিলো। আমরা যেখানে লুকিয়ে ছিলাম তার পাশেই ওনার চেম্বার। জায়গাটার নাম ছিলো নারিকেলবাড়িয়া। একদিন আমার দুই বন্ধুর বাবা ও ওনাকে (বাবা) রাজাকাররা নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পে তুলে নিয়ে যায়। ওই রাতেই আমার দুই বন্ধুর বাবাকে মেরে ফেলে। ওই দুই বন্ধুর একজন ছিলেন আমার আগের ব্যাচের মুক্তিযোদ্ধা। তবে আমার বাবাকে আর মারতে পারে না। কারণ ওই এলাকার সাধারণ জনগণ সারারাত ওই ক্যাম্প ঘেরাও করে রাখে। ওই এলাকায় বাবা ছাড়া আর কোন ডাক্তার ছিলেন না। এলাকার মানুষ এও বলেছিলেন, "আমাদের ডাক্তারকে মারতে হলে আগে আমাদেরকে মারতে হবে।" পরেরদিন দুই থেকে আড়াইটার দিকে জনগণ বাবাকে তাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: যুদ্ধের সময়ের কোন ঘটনা এখনও প্রায়ই মনে পড়ে? সেই ঘটনাটি আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

অধ্যাপক এস এম মান্নান: আমি ৮ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলাম। সে সময়ের দুইটা ঘটনা আমার প্রায়ই মনে পড়ে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, আমরা রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে তাদের (রাজাকার) সকল অস্ত্র কবজা করে আনন্দ ফূর্তি করছিলাম। তখন আমার এক সহযোদ্ধার হাতে গ্রেনেড ছিলো, সেটা অসতর্কতার কারণে পড়ে ফেটে যায়, এতে করে সে মারাত্মক আহত হয়। 

আরেকটি ঘটনা হলো, আমাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল রেকি (একটি সেতু উড়িয়ে দেয়া) করার। যখন পাক আর্মিরা সেতু পার হবে তার একটু আগে বিস্ফোরক লাগাতে হবে; তা না হলে তারা জেনে গিয়ে আর এদিক দিয়ে আসবে না। কারণ তারা আসার আগে রাজাকাররা চেক দিয়ে দেখতো। তো আমাদের এক সহযোদ্ধা ছিল আইনুদ্দিন, সে উত্তেজনাবশত রাজাকারের গাড়িতে গুলি করে দেয়। ওখানেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যে আর্মিরা চলে আসলে আমরা পিছু হঠি। সেখানে আমাদের দুই-তিনজন সহযোদ্ধা আহত হয়। আর এইটা ছিলো স্রেফ আমাদের ভুলের কারণে। 

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: যুদ্ধের সময় পরিবারের কথা যখন আপনার খুব বেশি মনে পড়তো তখন কী করতেন? পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল?

অধ্যাপক এস এম মান্নান: সে সময় পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার কোন সুযোগ ছিলো না। কারণ তখন কোন টেলিফোন কিংবা ইলেকট্রনিক মিডিয়া- কিছুই ছিলো না। লোকমুখেও খবর পাওয়ার কোন সুযোগ ছিলো না। তখন মাথার মধ্যে একটাই চিন্তা ছিলো দেশ কীভাবে স্বাধীন করবো। অদ্ভুত একটা ব্যাপার আমাদের মধ্যে কাজ করতো। আমি মরে যাবো কি না, গুলি লাগবে কি না এই ভয় আমার ছিলো না। আমাদের একটাই চিন্তা ছিলো আমাদেরকে জিততে হবে। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের মনে হতো, আহা যদি মরে যেতাম!

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: দেশ চূড়ান্তু বিজয় লাভ করতে যাচ্ছে, যুুদ্ধ চলাকালীন সময় কখন ও কীভাবে শুনলেন? সেই সময় আপনার অনুভূতি কেমন ছিল? তখন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উদযাপন কেমন ছিল?

অধ্যাপক এস এম মান্নান: তখন রেডিও শোনার সময় পেতাম না। অধিকাংশ সময় লুকিয়ে থাকতাম, শব্দ ও আগুন থেকে দূরে থাকতাম। কিন্তু যশোরে তাদের পতন হলে তখন বুঝলাম আর্মিরা পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজাকারদের আক্রমণ করলেও অল্প সময়ের মধ্যে তারা আত্মসমর্পণ করছে। তখন আমরা বুঝতে পারলাম দেশ বিজয় লাভ করতে যাচ্ছে। সেই সময় আমরা শত শত রাউন্ড গুলি ফুটিয়ে উদযাপন করলাম। ওই সময় তো আমাদের কাছে তেমন কিছু ছিল না। আমাদের জন্য যেগুলো বরাদ্দ ছিল সেগুলো ফুটানো হয়নি, বরং তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা গুলি দিয়ে উদযাপন করেছিলাম। আমরা নতুন উদ্যম ফিরে পেয়েছিলাম। সারাক্ষণ আমরা শিহরিত থাকতাম। যখন আমরা দেখছি ওরা পিছিয়ে যাচ্ছে তখন আমরা আস্তে আস্তে জনসমক্ষে আসছি। সেই সময় মানুষ আমাদেরকে ভীষণ সম্মানের চোখে দেখা শুরু করলো। আর যখন পুরো যশোর আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসলো তখন আমরা এলাকায় চলে আসলাম। তখন তো আমরা বীর। আমাদের সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে , যার যা আছে তা খেতে দেয়া হচ্ছে। আমরা তখন বীরের মতো মানুষের সংবর্ধনা পেয়েছি।

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: দেশকে যা ভেবে স্বাধীন করেছিলেন, দেশ বা জনগণ কি তার সঠিক মূল্যায়ন আপনাদের করতে পেরেছে?

অধ্যাপক এস এম মান্নান: স্বাধীনতার পর যখন পর্যন্ত রাজনৈতিক মতাদর্শ ভাগাভাগি হয়নি তখন পর্যন্ত এইটা ঠিক ছিলো। জনগণ আমাদেরকে আর্থিকভাবে না হলেও সামাজিকভাবে যথেষ্ট মূল্যায়ন করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা যখন অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল হয়ে গেল... আমাদের মধ্যে কেউ কেউ তখন পেটের দায়ে কারো পৃষ্ঠপোষকতায় কর্মে লিপ্ত ছিলো। সেটার জন্য পরবর্তীতে আমাদের কিছুটা সম্মানহানি হয়েছে। এর জন্য তারা (মুক্তিযোদ্ধা) দায়ী না, আমাদের যারা পৃষ্ঠপোষক ছিলো তারা দায়ী। 

যখন রাজনৈতিক বিভাজন হলো তখন এ এক গ্রুপ, ও আর এক গ্রুপে; এভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হলো। এরপর থেকে সামাজিকভাবে আমরা হেয়প্রতিপন্ন হওয়া শুরু হলাম। একটা সময় থেকে তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা কাগজে কলমে হওয়া শুরু হলো। আর্থিক ও বৈশ্বিক সুযোগ-সুবিধাও ওই সময় থেকে নেয়া শুরু হলো। কিন্তু প্রকৃত যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা অনেকেই অনাহারে ও অর্থাভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কোন কিছু পাওয়ার আশায় যুদ্ধ করেননি। 

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বর্তমান প্রজন্মের জন্য আপনার মূল্যবান পরামর্শ থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

অধ্যাপক এস এম মান্নান: আমি গর্ববোধ করি যে একটি সুন্দর ও স্বাধীন দেশে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা সম্পর্কে কথা বলতে পারছি। যেটা আগে একসময় ছিলো না। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিলাম পাকিস্তান শোষণ ও শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। একটা সদ্য স্বাধীন দেশকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আসতে হয়। আমরা কিন্তু সেটা পার হয়ে এখন একটা স্থির অবস্থায় এসে গেছি। যদিও কিছু বিভ্রান্তি এবং বিরোধিতা এখনো রয়ে গেছে।

আমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এটাই বলবো, যদি দেশ স্বাধীন না হতো তাহলে অনেকেই আজকের বর্তমান অবস্থানে থাকতো না। কাজেই আমরা যে ফলটা এখন পাচ্ছি এটা স্বাধীনতার ফল। এই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবশ্যই আমাদের ধারণ করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে সততার সাথে এটাকে ধারণ করার। দল ও ব্যক্তির চেয়ে দেশ বড়- এই চেতনাটা মনে ধারণ করে আমাদেরকে এগোতে হবে। আমার বিশ্বাস আমরাও একদিন উন্নত দেশে উন্নীত হতে পারবো। এর পুরোটাই নির্ভর করবে এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুললে চলবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমুন্নত থাকতে হবে। শোষণ ও শাসনের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, এটা মাথায় রেখে সৎভাবে এবং পরিছন্ন চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

দ্যা বাংলাদেশ মোমেন্টস: আপনাকে ধন্যবাদ।

অধ্যাপক এস এম মান্নান: দ্যা বাংলাদেশ মোমেন্টস-এর জন্য শুভ কামনা।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ