০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩১

ফেসবুক ব্যবহার: শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ

  © প্রতীকী ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিদিন সক্রিয় থাকা ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ফেসবুকের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এমন ব্যবহারকারী বেড়েছে চার শতাংশ। এই বাড়তি ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তিনটি দেশে। সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত ও ফিলিপাইন।

নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা এক প্রতিবেদনে গত বৃহস্পতিবার মেটা জানিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দৈনিক গড়ে প্রায় ২শ কোটি মানুষ ফেসবুকে একবার হলেও প্রবেশ করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দৈনিক গড় ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৯৩ কোটি। মূলত বাংলাদেশ, ভারত ও ফিলিপাইনের ব্যবহারকারীদের কারণেই তাদের গড় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে।

মেটা বলেছে, ‘২০২১ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দৈনিক অ্যাকটিভ ব্যবহারকারীর (ডিএইউ) সংখ্যা বৃদ্ধির উৎস ছিল বাংলাদেশ, ভারত এবং ফিলিপাইনের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।’ নিবন্ধিত এবং লগইন করা ফেসবুক ব্যবহারকারী যারা ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল ফোনে অথবা মেসেঞ্জারে নির্দিষ্ট সময়ে প্রবেশ করে থাকেন তাদের ‘দৈনিক অ্যাকটিভ ব্যবহারকারী’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে মেটা।

শুধু দৈনিক অ্যাকটিভ ব্যবহারকারীর শীর্ষে নয়, মাসিক অ্যাকটিভ ব্যবহারকারীর তালিকারও শীর্ষ তিনে রয়েছে বাংলাদেশ। এই তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে ভারত ও নাইজেরিয়া।

এর অর্থ, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশি, ভারতীয় ও নাইজেরিয়ানরা সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহার করেছেন। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ফেসবুকের অ্যাকটিভ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মেটা ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত ও তুরস্কের মতো কিছু দেশ ডাটা নিয়ন্ত্রণ শর্ত, স্থানীয় স্টোরেজ এবং প্রসেসিংয়ের শর্ত বা এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা কার্যকরের শর্ত দিয়েছে বা কার্যকরের পরিকল্পনা করছে। যে কারণে ওইসব দেশে মেটার স্বাভাবিক সেবা ও কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে বা কার্যক্রম চালানোর খরচ বাড়ছে। এতে করে কিছু দেশে ‘নির্দিষ্ট সেবা স্থগিত’ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে তারা অথবা জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: হঠাৎ থেমে গিয়ে পৃথিবীর কেন্দ্র এবার ঘুরছে উল্টো দিকে!

এ ছাড়া মেটা তার বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা দিয়ে বলেছে, ভারত ও জার্মানির মতো দেশে নির্দেশনা অনুযায়ী কনটেন্ট না সরানোয়, নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা না করায় এবং বাধ্যবাধকতা না মানায় তাদের শাস্তি পেতে হয়েছে বা জরিমানা দিতে হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমনটি হতে পারে।