মিরপুরে ‘গার্ড অব অনারের’ মাধ্যমে শেষ হলো আলিমদারের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার!

আলিম দার
গার্ড অব অনার দিচ্ছেন বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়রা  © সংগৃৃহীত

আইসিসি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন আলিম দার। পাকিস্তানি এই আম্পায়ার ১৯ বছরের আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে থাকার পর বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার একমাত্র টেস্টে শেষবারের মতো দায়িত্ব পালন করেন।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) মিরপুর হোম অব ক্রিকেট শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৭ উইকেটে জয়লাভ করে সাকিব বাহিনী। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে উভয় দলের খেলোয়াড়রা দুই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আলিম দারকে ‘গার্ড অব অনার’ দেন।

খেলোয়াড়দের কাছ থেকে গার্ড অব অনারের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে সম্মাননাও পেয়েছেন আলিম দার। ১৯ বছর আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা এই পাকিস্তানি আম্পায়ারের হাতে স্মারক তুলে দেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান। 

২০০০ সালে আম্পায়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনায় অভিষেক হয়েছিল আলিম দারের। এর দুই বছর পর আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে যুক্ত হন তিনি। এরপর ২০২৪ সালে তাকে আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

দীর্ঘ আম্পায়ারিং জীবনে ১৪৫ টেস্ট, ২২৫ ওয়ানডে ও ৬৯ টি-টোয়েন্টিতে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৫৪ বছর বয়সী আলিম। এর মধ্যে ২০০৬ আইসিসি ট্রফি ফাইনাল, ২০০৭ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০১০ ও ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল অন্যতম।

২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত টানা তিন বছর আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের স্বীকৃতিও পান আলিম দার।

মিরপুরে শেষ ম্যাচেও আলিম দারের সিদ্ধান্ত ছিল সেরা মানের। ম্যাচে তার ৮টি সিদ্ধান্তের রিভিউ চেয়েছিল দুই দলের অধিনায়ক। তবে এর মধ্যে শুধু সাকিবের বলে একটি সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে, বাকি সাতটিই বহাল থেকেছে। যার মধ্যে মাত্র একটি ছিল আম্পায়ার্স কল।

আলিম দার অবশ্য এখনই আম্পায়ারিং ছেড়ে দিচ্ছেন না। আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা চালিয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চাইলে তিনি আম্পায়ারিং করতে পারবেন। আম্পায়ারিংয়ের বাইরে লাহোরে একটি একাডেমি গড়ে তুলেছেন তিনি। সেখানে ভবিষ্যতের আম্পায়ার তৈরি করবেন এই তারকা।

বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরপরই বাউন্ডারির দিকে ছুটলেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিক–মুমিনুল এবং আয়ারল্যান্ড ফিল্ডাররা। ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে এলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে দুই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালেন খেলোয়াড়রা।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ