আইপিএলে ফিরে এল গম্ভীর-কোহলির পুরনো দ্বৈরথ

ক্রিকেট
গম্ভীর-কোহলির পুরনো দ্বৈরথ  © ক্রিকইনফো

খেলার মর্যাদা নষ্ট করেছে গম্ভীর, বিরাট ও নবীন, ম্যাচের পর তিনজনকেই শাস্তি দিল বিসিসিআই। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ অর্থাৎ আইপিএল-এর মর্যাদা নষ্ট করার কাজটি করেছেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর গৌতম গম্ভীর, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি এবং লখনউ দলের ফাস্ট বোলার নবীন-উল-হক। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআই এবং আইপিএলের আয়োজক কমিটি এই তিনজনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। গম্ভীর, বিরাট ও নবীনের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক কমিটি ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই তিনজনকেই জরিমানা করেছে বিসিসিআই। 

আইপিএলের আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য লখনউ মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে তাঁর ম্যাচ ফির ১০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আরসিবি ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিরও ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা যাবে। এছাড়া ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে নবীন-উল-হককে। ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রথমে নবীন এবং বিরাটের মধ্যে মারামারি এবং তারপর গম্ভীর এবং বিরাটের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, যার পরেই বোর্ড এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোমবার একানা স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়েন্টস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচের মধ্যে মধ্যে বিরাটের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সেইসময় ২৩ বছরের আফগানিস্তানের ক্রিকেটারকে বিরাট জুতো দেখান বলে অভিযোগ উঠেছে। যে রেশ ম্যাচের শেষে হাত মেলানোর পর্বেও ছিল। হাত মেলানোর সময় নবীন এবং বিরাটের একপ্রস্থ ঝামেলা হয়। শেষে বিরাট এবং গম্ভীরকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। দু'জনেই একে অপরের দিকে তেড়ে যান।

এমনিতে সোমবার লখনৌয়ের বিরুদ্ধে ফিল্ডিংয়ের সময় চূড়ান্ত আগ্রাসী রূপ ফুটে ওঠে বিরাটের। উইকেট পড়লে মারাত্মক আগ্রাসনের সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। বিরাটের আগ্রাসনের আগুন থেকে বাদ যাননি লখনৌয়ের দশম ব্যাটার নবীনও। তিনি যখন ব্যাট করছিলেন, তখন তাঁকে স্লেজিং করতে থাকেন বিরাট।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ওভারের পরে নবীন এবং বিরাটকে উত্তেজিতভাবে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তা যে খুব একটা ‘মধুর' কথা ছিল না, তা হাবেভাবেই বোঝা যাচ্ছিল। লখনৌয়ের ব্যাটার অমিত মিশ্র বিরাটকে আটকানোর চেষ্টা করলে কোনও লাভ হয়নি। তারইমধ্যে নবীন হেঁটে ক্রিজের দিকে চলে যান। নবীন ক্রিজের দিকে চলে যাওয়ার পরে সেদিকে ইঙ্গিত করেই নিজের জুতো দেখাতে থাকেন বিরাট। সঙ্গে কিছু বলতে থাকেন। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি ঠিক কী বলতে চাইছিলেন, সেটা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি। তবে সেইসময়ের মতো বিরাটদের শান্ত করে ফিল্ডিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার।

কিন্তু সেখানেই শেষ হয়নি ঝামেলার। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর হাত মেলানোর পর্বে নবীন এবং বিরাটের একপ্রস্থ ঝামেলা লেগে যায়। দু'জনে যখন হাত মেলাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের মধ্যে কেউ একটা কিছু বলেন। কে প্রথমে বলেছিলেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার জন্য বিরাটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন নবীন। সেইসময় বিরাট তাঁর দিকে মুখ ঘুরিয়ে সম্ভবত কিছু বলেন। তারপর বিরাটের দিকে মুখ ঘুরিয়ে তাকান নবীন। দু'জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে। সেই পরিস্থিতিতে দু'দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যান।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ