১০২০ দিন পর কোহলির ব্যাটে ৭১তম শতক

ক্রিকেট
বিরাট কোহলি  © ক্রিকইনফো

২৩ নভেম্বর ২০১৯ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, সময়ের হিসেবে কেটে গেছে ১০২০ দিন। এই হাজার বিশ দিনে অতিমানব বিরাট কোহলি নেমে এসেছিলেন নেহায়েত মানুষের কাতারে, যিনি আমাদের মতোই ভুল করেন, দুঃখে যার মাথা এলোমেলো হয়, যাকে বিষণ্ণতা আঁকড়ে ধরে। এ থেকে নিস্তার পেতে ভজন শুনতে গিয়েছিলেন, নিয়েছিলেন ব্যাট ধরা থেকে ১ মাসের একটা বড় বিরতিও।

ফরিদ মালিকের শর্ট অব লেন্থের ডেলিভারি অনায়াসেই ডিপ মিড উইকেট দিয়ে সোজা সীমানার ওপারে পাঠালেন বিরাট কোহলি। অভিবাদন জানাতে ছুটে এলেন রিশাভ পান্ত। আর কোহলি যেন হাসিই থামাতে পারছেন না। এই হাসি তৃপ্তির, এই হাসি দীর্ঘ অপেক্ষার পর অধরা সেঞ্চুরি প্রাপ্তির।

এশিয়া কাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচটি ছিল নিছকই নিয়মরক্ষার। তবে এই ম্যাচকেই নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় করে রাখলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। কেননা এই ম্যাচেই যে তিনি তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৭১তম সেঞ্চুরি।

ফরিদ মালিকের শর্ট অব লেন্থের ডেলিভারি অনায়াসেই ডিপ মিড উইকেট দিয়ে সোজা সীমানার ওপারে পাঠালেন বিরাট কোহলি। অভিবাদন জানাতে ছুটে এলেন রিশাভ পান্ত। আর কোহলি যেন হাসিই থামাতে পারছেন না। এই হাসি তৃপ্তির, এই হাসি দীর্ঘ অপেক্ষার পর অধরা সেঞ্চুরি প্রাপ্তির।

এশিয়া কাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচটি ছিল নিছকই নিয়মরক্ষার। তবে এই ম্যাচকেই নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় করে রাখলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। কেননা এই ম্যাচেই যে তিনি তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৭১তম সেঞ্চুরি। এই ইনিংসের পর কোহলি জানালেন, নিজেই অবাক হয়েছেন এই সেঞ্চুরিতে।

ইনিংস ব্রেকে ব্রডকাস্টারদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমি খুবই খুশি, খুবই কৃতজ্ঞতাবোধ করছি এখন। গত আড়াই বছর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। নভেম্বরে আমার ৩৪ বছর হবে। তাই (আগ্রাসী) উদযাপন সব অতীতেই থাকুক। এখন অনেক কিছুই আমার ভাবনার জগতে কাজ করে।'

কোহলি ভাবেননি টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করে ঘুচবে তার তিন বছরের অপেক্ষা, 'আমি খানিক অবাকই হয়েছি। কারণ এই ফরম্যাটেই সেঞ্চুরির সবচেয়ে কম আশা ছিল। সবই সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। এটি আমার জন্য ও দলের জন্য অনেক স্পেশাল।'

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২১৩ টার্গেট দেয় ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভূবনেশ্বর কুমারের তোপে পড়ে আফগানরা। ৪ ওভার বল করে ৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। এরপর ইব্রাহিম জাদরানের ৬৪ রানে ভর করে ব্যবধান কমায় আফগানরা। শেষ পর্যন্ত ১০১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।