১০ এপ্রিল প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে চাই: শাহরিয়ার কবির

শাহরিয়ার কবির
  © সংগৃহীত

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, '১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস আমরা অবশ্যই পালন করবো তার সাথে ১০ এপ্রিল আমরা প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করতে চাই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য।'

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, (প্রজাতন্ত্র দিবস) এটি যদি আমরা জাতীয় ভাবে পালন করি ছুটির দিন না হোক জাতীয় অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি আসুক  রাষ্ট্রপতি একটি বাণী দিবেন এ উপলক্ষে এতে করে তরুণরা শুধু শহর নয় গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে আমাদের গৌরবের কথা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, 'আমরা ছাত্রদের যখন জিজ্ঞাসা করি স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ঘোষণাপত্রের পার্থক্যটা আসলে কি এটা আসলে তারা বুঝতে পারেনা। কারণ যখন এটা পড়ানো হয়েছে পাঠ্যক্রমে থাকলেও এটা বুঝানোর সময় শিক্ষকদের মাঝে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, যে উদাহরণ গুলো ডেট সহকারে না বলায় কমলমতি শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার করতে পারছে না।'

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরো বলেন, আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান সঠিক ইতিহাসটি পড়তে হবে, সঠিক ইতিহাসটি জানতে হবে, সঠিক ইতিহাসের উপর যেসকল তথ্যচিত্র রয়েছে তা জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় জাদুঘরে যেতে হবে তাদের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়ার পর ইতিহাস বিভাগের সেমিনার আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোছাঃ খোদেজা খাতুনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. মোঃ হুমায়ূন কবীর চৌধুরী এবং আলোচক হিসেবে বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেমিনারটি সমাপ্তি হয়।

এছাড়া উক্ত সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির বর্তমান এবং সাবেক সদস্য, বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য