দুমকীতে ক্রয় কৃত জমিতে রাস্তা নির্মাণে বাধা দিয়ে উল্টো জোর করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

পটুয়াখালী
  © মোমেন্টস ফটো

পটুয়াখালীর দুমকিতে ক্রয়কৃত জমিতে রাস্তা নির্মাণে মোঃ জসিম সিকদার(৩৫) ও মোঃ শাহজাহান সিকদার(৪৭) এর নেতৃত্বে বাধা দেয়া অভিযোগ উঠেছে। 

অপরদিকে মোঃ শাহজাহান সিকদার তার দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখলের ক্রয়কৃত জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ করেছেন দুমকি থানায়। 

রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে বারবার শালীস মীমাংসায় বসলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানা যায়।

উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামে প্রায় ১০ টি পরিবারের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা না থাকায় নিজেদের ক্রয়কৃত জমিতে রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে দেশীয় অস্ত্র ও লোকজন নিয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিরা রাস্তা নির্মাণকারীদের কাজে বাধা দিয়ে হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কবির হোসেন বাংলাদেশ মোমেন্টসকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালপাড়ে অন্যের জমিতে সরু রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করতেন। কিন্তু জমি ক্রয়ের পর থেকে খাল পাড়ের রাস্তার জমির মালিকেরা নিজেদের ক্রয়কৃত জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে হাটতে বলেন। সেলক্ষ্যে তাদের ক্রয়কৃত জমিতে রাস্তা নির্মাণ করতে শুরু করতে গেলে মোঃ জসিম সিকদার ও মোঃ শাহজাহান সিকদার গং তাদের বাধা দেন। এরপর থানা থেকেও পুলিশ বারবার আসলেও কোন সুরাহা পাননি। তাই তার কোন উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী ১০ থেকে ১২ টি পরিবার একত্রে মিলে নতুন রাস্তাটি নির্মাণ করেছেন। 

এ বিষয়ে জসিম শিকদার বলেন, ওখানে আমারও জমি আছে। জমির মাঝখান দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা শুরু হলে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। শালিসেরা অন্য জায়গা দিয়ে রাস্তা দিলেও তারা আমার জায়গার ওপর দিয়েই রাস্তা নির্মাণ করেছে। 

জসীম গং এর পক্ষের মননীত শালীসদের একজন মোঃ শাহবুদ্দীন শরীফ  বলেন, আমরা শালীসিতে বসছিলাম। দীর্ঘ ৩০ বছরের খাল পাড়ের রাস্তাটি চলমান থাকবে। আমরা ৭-৮ জন শালীস সিদ্ধান্ত দিয়ে আসছিলাম।

কবির হোসেন গং মননীত শালিস আকবর মৃধা বলেন, জসিম গংদের পশ্চিম পাশ দিয়ে জমির বুঝ দেয়া হয়েছে। আর জসিমের চাচতো ভাইয়ের জমি পূর্ব পাশ থেকে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় একটি পক্ষ ইন্টারফেয়ার করে ঝামেলা সৃষ্টি করতেছে। 

এ বিষয়ে দুমকি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, আমি ওখানে গিয়েছিলাম।পরবর্তীতে বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা যেন না ঘটে এ বিষয় নিষেধ করা হয়েছে এবং তাদেরকে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করতে বলা হয়েছে। 


মন্তব্য