খোলা বাজারের ইফতার খেয়ে অসুস্থ হচ্ছেন অনেকেই

মৌলভীবাজার
  © টিবিএম ফটো

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হোটেল রেস্তোরা গুলোতে খোলামেলা পরিবেশে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বাহারি রকমের ইফতারি সামগ্রী। এসব ইফতারি ঢেকে না রাখার ফলে মাছি বসে জীবাণু ছড়াচ্ছে ও রাস্তার ধুলো বালি পড়ে দুষিত হচ্ছে।অন্যদিকে এসব ইফতারি খেয়ে পেটের পীড়া সহ নানা রোগে আক্রান্তের শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা।

শনিবার( ৩০ মার্চ ) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ রোড়, ষ্টেশন রোড, ভানুগাছ রোড, কালিঘাট রোড, সিন্দুরখান রোড ও শহরের বাহিরে সিন্দুরখান বাজার, জানাউড়াবাজার, শিববাড়ী বাজার চকগাও চৌমুহনীবাজার, শাহজীর বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রত্যকটি বাজারেই খোলা মেলা পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে ইফতারের তৈরী খাবার গুলো। 

এসব ইফতারি সামগ্রী ঢেকে না রেখে বিক্রি করার ফলে মাছি বসে জিবানু ছড়াচ্ছে ও রাস্তার ধুলো বালি এসে এসব ইফতারি সামগ্রীতে পড়ছে। এতে করে একদিকে যেমন দুষিত হচ্ছে খাবার অন্যদিকে এসব ইফতারি খেয়ে অনেকেই পেটের পিড়া সহ নানা রোগে আক্রান্তের শিকার হচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এসব ইফতারি সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্ন মানের তৈল ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া অনেকেই একই তৈল দিয়ে একাধিকবার ইফতারি সামগ্রী তৈরি করছেন। প্রতিদিন যেসব ইফতারি বিক্রির পর অবশিষ্ট থেকে যায় তা পরের দিন নতুন ইফতারির সাথে মিশিয়ে বিক্রি করা হয়ে থাকে। যার ফলে এসব ইফতারি ক্রয় করে অনেকেই পঁচা ভাসীর গন্ধে খাওয়ার অনুপযোগী মনে করে ফেলে দেন। আবার অনেকেই ভাল ইফতারি কিনতে গিয়ে প্রতারনার শিকারও হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে শিববাড়ী বাজারের চিকিৎসক দিবাকর দাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রোজার মাস আসার পর থেকেই পেটের সমস্যার রোগীর বেশি আসেন। খাবারে ধোলাবালি ও মাছি বসে জীবাণু ছড়াচ্ছে। খাবার ঢেকে বিক্রি করলে হয়। এমন সমস্যা কিছু টা কম হতো। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের খোলা বাজার থেকে ক্রয় করা ইফতারি না খাওয়র পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শাহজাহান পুরের নিজাম মিয়া সোহেল মিয়া, জামাল মিয়া, জালাল মিয়া সহ অনেকেই জানান, এসব হোটেল ও রেস্তোরার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা জরুরী। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জোর দাবী জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যপারে মৌলভীবাজার ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি এবং নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রম চলমান থাকবে।


মন্তব্য