‘আমার তিন মাসের শিশুকে নিয়ে এখন কীভাবে বাঁচব’

সারাদেশ
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসান মিয়ার স্ত্রীর আর্তনাদ  © সংগৃৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসান মিয়ার (২৫) স্ত্রী মর্জিনা খাতুন আর্তনাদ করে বলেন ‘আমার তিন মাসের শিশুকে এতিম করে আমার স্বামী মারা গেল। এখন আমরা কীভাবে বাঁচব। যে হাতে আমার স্বামীকে গুলি করেছে, সে হাত যেন পচে যায়। আল্লাহ্ যেন তাদের বিচার করে’।
 
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন হাসান। হাসান কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জারু মিয়ার ছেলে।

পরিবারের স্বজনরা জানান, সকালে হাসান তার বন্ধুদের নিয়ে পুটিয়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ঘুরতে যায়। এ সময় তাদের দেখে বিএসএফ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই হাসান গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ দিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজনরা হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করেন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তারা। তাদের আহাজারিতে এক শোর্কাত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তারা সীমান্তে হত্যা বন্ধসহ হাসান হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।

নিহত হাসানের বাবা জারু মিয়া বলেন, আমার ছেলে সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিল। পরে খবর পাই বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। কেন তারা আমার বুককে খালি করল। আর যেন কোনো মায়ের বুক খালি না হয় সরকারের কাছে দাবি জানাই।

এ দিকে ঘটনার পর দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনাটির আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিএসএফ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্ত চলছে।  

তবে এ বিষয়ে জানতে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেনি।


মন্তব্য