নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধী বললেন মার্কিন সিনেটর
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৫:৫২ PM , আপডেট: ০২ জুন ২০২৪, ০৫:৫২ PM
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের নৃশংস হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে গাজার অধিকাংশ স্থাপনা। এজন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বেশ কয়েকটি দেশের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এবার নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধী অ্যাখ্যা দিলেন মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আখ্যা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ সভায় বক্তৃতা করার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদের নেতারা। গতকাল শুক্রবার একটি চিঠির মাধ্যমে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় সিনেটর স্যান্ডার্স এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী। তাঁকে কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো উচিত হয়নি। নিশ্চিত আমি এতে অংশ নেব না।
পোস্টটির কমেন্টে ডেমোক্রেটিক পার্টির এই সিনেটর আরও লেখেন, অবশ্যই ইসরায়েলের ৭ অক্টোবর হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের অধিকার আছে। তবে তারা তা করেনি। তাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কোনো অধিকার নেই।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এসব হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, আশ্রয়শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩০০ জনের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮২ হাজারের বেশি। এ ছাড়া নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ।
নিহতদের মধ্যে ১০ হাজারের অধিক নারী ও ১৭ হাজারের অধিক শিশু বলে জানায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে পচছে ১৫ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনিদের মরদেহ।
এদিকে আন্তর্জাতিক সকল উদ্বেগ উপেক্ষা করে, জাতিসংঘ আদালতের রায় অমান্য করে গাজার জনবহুল শহর রাফায় হামলা শুরু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এতে গাজায় এযাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে উপত্যকাটিতে। কারণ, গাজা উত্তর ও দক্ষিণে হামলার পর ১০ লাখের অধিক ফিলিস্তিনি পালিয়ে এই রাফায় অবস্থান নিয়েছিলো।